সাহিত্য

ললনা কে তোমার

ললনা কে তোমার

 

ললনা তোমার গলার মালা কার নামেতে নাচে,
তোমার সকল আশার আলো কার কথাতে বাঁচে


তোমার আঙুল বন্ধনীটা কার নামেতে বাঁধা,
কার জন্য অহর্নিশি সকাল বিকাল কাঁদা 


কার জন্য ভাসিয়ে দাও আজন্ম আশ্রয়,
তবুও তার বসত বাড়ি তোমার কিছুই নয়। 


ললনা তোমার পায়ের আলতা মাথার সিঁদুর কার?
ছলনাতেও ভালোবাসার এ কোন অহংকার!


ইচ্ছা মাফিক পুতুল খেলা খেলল যে জন ভুলে,
তার ডালিটা সাজাও কেন মায়া মমের ফুলে!


বাবার আদর মায়ের স্নেহ ভুলে অবশেষে,
কোন মানুষটার জন্য পাড়ি জমাও অচিন দেশে।


তার যে তুমি হয়েই গেলে তাইতো জানে মানুষ,
সে কী আদৌ তোমার হল প্রশ্নটা এক ফানুশ।


জন্মের সেই আঁতুড় ফেলে যে ঘরে নাও ঠাই,
কদিন পরে হয়তো দেখবে সে ঘর তোমার নাই
যে আঁচলের ভাজে ভাজে নামটি কারো লেখা,
সেই কেউই হয়তো খুঁজবে অন্য আঁচল রেখা। 


যার জন্য শোঁকে কাতর তিনটি বিনিদ্র মাস,
নারী ছাড়া চলবে না তার একটি দিনও বাস। 
উপোষ হয়ে থাকলে যে জন তোমার হয়না খাওয়া ,
সুখের সময় কাজই যে তার তোমায় ভুলে যাওয়া 
মাছের মাথা, রানের টুকরা যার পাতে দাও তুলে, 
জিরো ফিগার তোমার কষ্ট সে ভাবে ও না ভুলে 


কী যে আজব ভালোবাসা কী যে সার্থকতা, 
নিজকে জ্বালিয়ে কী যে তোমার অবাক বদন্ন্যতা
তাই তো বুঝি কলির যুগেও পৃথিবী টিকে আছে, 
সব হারিয়েও পূর্ণতা ভাষা পায় তোমারই মাঝে


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)