সাহিত্য

একবার যে আকাশ চেনে

একবার যে আকাশ চেনে
resize_1407813445-300x199 যখন তুমি ছিলে তার গলায় দেওয়ার হার, মাটিতে পা পড়তো না তার, ভীষণ অহংকার। সোনার গয়না ফেলত ছুড়ে তামার তারের মতো, ভাবটা ছিল- এমন গয়না আসবে যাবে কতো! যখন তুমি তার জন্য জেগেছ রাতভর, ভোরের আলোয় বদলেছে তাও তারই কণ্ঠস্বর, ভাবটা ছিল- সব রাতই তো জাগবে এমন করে, যথারীতি বদলাবে সেও নিত্য প্রতি ভোরে। যখন তোমার বেলা গেছে তারই চরণ ছুঁয়ে, পা খানি তার ভিজিয়েছ অশ্রু দিয়ে ধুয়ে, ভেবেছে সে - কাঁদবে তুমি শুধু তারই জন্য, তুমি যেন বাজার থেকে কুড়িয়ে পাওয়া পণ্য। যখন তোমার সময় গেছে মুক্ত বাতাস ভিক্ষায়, পায়ে সোনার শিকল বাঁধার ছিল সে প্রতীক্ষায়। যখন মনে প্রানে ছিলে মুক্ত স্বাধীন পাখি, তখন সে চেয়েছিল বাঁধতে মনের আঁখি। একদিন ঠিক পাখি হয়ে উড়লে আকাশ জুড়ে, সব বাঁধা ডিঙ্গিয়ে গেলে দেখবে জগত ঘুরে। এখন সে নয়ন ভাসায় সকাল সন্ধ্যা বেলা, বুঝতে পারে পাখি ধরার ভুল ছিল সেই খেলা। মনের মানুষ মনের মাঝেই মানাত যে বেশ, দাসী ভেবে জীবনটা সে করলো নিজের শেষ। চোখের জ্বলে এখন ডুবে রয় সে সারা দিন, শুধু ভাবে কি ভাবে শোধ করবে তোমার ঋণ। কিন্তু পাখি হারিয়ে গেছে সব পিছুটান ছেড়ে একবার যে আকাশ চেনে সে কি ঘরে ফেরে?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ