
বিবিধ
সাত রঙা র্যালি আর তার রঙ চটা ভবিষ্যত

সাবজেক্টটা এমন যেইটা নিয়ে কেউ তেমন কিছু বলেনা। তার কারন হতে পারে এর অস্তিত্বের সামান্যতা, এর প্রতি ঘেন্না বা আরো অনেক কিছু। সমকামীতার কথা বলছি। সবচেয়ে নোংরা ব্যাপারটা নিয়ে আজকে কথা বলতে বাধ্য হলাম। এই নিয়ে ক' টা বাক্য জুড়বো শুধু।
গেলো পহেলা বৈশাখের শোভা যাত্রায় একটা ভিন্নতা ছিলো জানিনা খেয়াল করেছেন কিনা। রঙ ধনুর আনা গোনা ছিলো চোখে পড়ার মত। রংধনু সেজে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভা যাত্রার শোভা বর্ধনে একটা গে প্রাইড প্যারেড হয়ে গেলো। যেইখানে সমকামিতা কে রাষ্ট্রীয় বৈধতা দিয়ে 'রুপবান' গ্রুপ আর এই নামে ম্যাগাজিনের জন্ম দিয়ে ফেলা হয়েছে সেই কথা চিন্তা করলে রঙধনু কে সিম্বল ধরে সমকামিদের প্রাইড প্যারেড আপাত দৃষ্টিতে মোটামুটি সিম্পল ব্যাপার স্যাপার।
এইবার একটু পেছনে ফিরি। বাঙলা সংস্কৃতির বরাত দিয়ে যেই শোভা যাত্রায় এখন মানুষের ঢল নামে সেইটা কিন্তু পহেলা বৈশাখের আব্বা আকবর করে যান নাই। ইতিহাসে বাংলা ১ম মাসের ১ম তারিখে আকবরের পান্তা ইলিশ খাওয়ার রেকর্ড পাওয়া যায়না। আকবর এই দিনে লাল সাদায় সেজেছিলো কিনা তারও হদিস পাওয়া যায়না। কিন্তু তারপরও এইসব আজকে আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিভাবে সম্ভব হলো সেইটা প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার দিকে তাকালেই বোঝা যায় যেইটাতে লোক সংখ্যা ছিলো দশের কম। এ কিন্তু বেশি দিনের কথা না। কিন্তু আজকে সেই শোভাযাত্রায় শোভা বর্ধনকারীদেরকে গুনে কূল পাওয়া যায়না।
এমনটা গে প্রাইড প্যারেডের ক্ষেত্রে হওয়াটা কি খুব অস্বাভাবিক? দুদিন আগে প্রকাশ্যে যার যাত্রা শুরু তা যে একদিন বিশাল বিষ বৃক্ষে পরিণত হবে সেইটা না বললেও বুঝতে কষ্ট হয়না। সমকামিতা যে এইদেশে ছিলোনা তা নয়। এইটা অনেক পুরোনো। কিন্তু "ঘেটু পুত্র কমলা" দিয়ে এর জায়েজি করণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কিছু দিনের মাথায় একে বৈধতা দিয়ে প্যারেড অ্যারেঞ্জ করাটা এক সময় উল্টে যাওয়া লুতের জাতির চেয়ে ভালো পরিণতি আনতে পারবে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়।
"সোমবার রাজধানীর শাহবাগে সকাল ৯.৩০ এর দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রার পরে পরেই এই র্যালি বের করে ওই দল। সমকামীদের প্রতীক হিসেবে পরিচিত রংধনুর সাত রঙ এর সাথে মিল রেখে র্যালিটি শাহবাগ থেকে রুপসি বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল পর্যন্ত গিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে আসে। র্যালিতে সাতটি লাইনে বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা এবং লাল রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত সমকামীরা কাগজের ফুল, পাখি আর বেলুন। র্যালি শেষে তারা হাতের বেলুন আকাশে উড়িয়ে দেয়। ভিন্ন আয়োজনের ওই র্যালিটি উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্ঠি করে। ফেসবুকে 'রুপবান' নামে সমকামীদের গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে বেশ উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। তারা ভবিষ্যতে পশ্চিমা দেশগুলোর আদলে 'গে প্রাইড প্যারেড' এর আয়োজন করার চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।"
মূল সংবাদ থেকে কয়েকটা লাইন তুলে দিলাম। ভয়াবহতাটা আঁচ করতে পারছেন কিনা জানিনা। এই সংবাদের ধারাবাহিকতায় একদিন হয়তো নতুন প্রজন্মের মুখে সমকামিতার বয়ান নিয়ে লম্বা চওড়া সাক্ষাতকার, টকশো শুনতে হবে। বিয়ের কার্ডে অমুকের জ্যেষ্ঠ পুত্রের সাথে তমুকের একমাত্র পুত্রের বিয়েতে যোগদান করার বিনীত অনুরোধ থাকবে।
সমকামিতা প্রতিষ্ঠিত করতে তসলিমা টাইপস মাথা গুলো এ ব্যাপারে তাদের দর্শন ছেড়ে যাচ্ছেন দেদারসে। সমকামিদের গর্ত থেকে বের করাটা প্রগতিশীল হওয়ার জন্য আবশ্যক বলে তারা চেঁচিয়ে যাচ্ছে, সাহিত্য রচনা করছে, ব্রেইন ওয়াশ করছে আরো কত কি!
অথচ এই নোংরা বিষয়টার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে কিছু কথা চালাচালি হওয়া ছাড়া আর কিছুই হচ্ছেনা। না কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ, না কোনো সংগঠন ভিত্তিক প্রতিবাদ। প্রতিরোধ তো দুরের কথা।
আমি ভাবছি হযরত লূত (আ) এর জাতির কথা। সমকামিতার মত নোংরামির কারনে যেই জাতিটাকে ভুমি সমেত উল্টে দেয়া হয়েছিলো। হয়তো বলতে পারে অনেকেই যে ভয়ের কিছু নাই আমি তো ইনভল্ভড না। লূত (আঃ) কে তো এই শাস্তি দেয়া হয়নাই। ভাবতে হবে এর বিরুদ্ধে লূত (আঃ) কতটা তৎপর ছিলেন আর এর শেকড় উপড়াতে আমরা কতটা তৎপর। তখন উল্টে যাওয়া ভুমিতে নিউট্রালদের বাসও ছিলো এবং তারাও কম শাস্তি পায়নি।
উদার মনোভাব এবং কেয়ারলেসনেস কে ই যদি সমাধান ভাবা হয় তাহলে সাইড বাই সাইড অদূর ভবিষ্যতে ভুমি সমেত উল্টে পড়ে ভ্যানিশ হয়ে যাওয়ার ভাগ্য বরণের জন্য প্রিপারেশনটাও নিয়ে রাখা ভালো।

আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)