বিবিধ

এইবার হ্যাপি তো?

এইবার হ্যাপি তো?
"জানেন? কত্ত রিকোয়েস্ট করছি, ভাই পর্যন্ত বলছি তাও.........। কোন রকমে বেঁচে ফিরলাম।" একটা মেয়ের কান্না ভেজা কণ্ঠের এই একটা বাক্যই যথেষ্ট ছিলো ভয়াবহতা বোঝার জন্য। ওহ রে! বাক্যটার আনুষঙ্গিক কথা তো বলিইনি। ৩ লাখের একজন হয়ে কন্ঠ দিতে ছুটে গিয়েছিলো মেয়েটা। চেতনায় স্বাধীনতা, চিন্তায় স্বাধীনতা, সাজ-ফ্যাশনে স্বাধীনতা, আর সরল সোজা দেশ প্রেম ছিলো ওর সেইদিনকার পুঁজি। পড়ে দেশ খ্যাত প্রতিষ্ঠানে। প্রথমে ইউনি মেটরা সহ সারি বেঁধে ঢুকতেই কান গরম করে দিলো আশ-পাশ থেকে আসা কিছু কথা তারপর এর রেশ বাড়তে বাড়তে এক সময় সেইটা "কোনো রকম বেঁচে ফেরা''র পর্যায় পর্যন্ত গড়ায়। ইভেন্ট টা বুঝেছেন নিশ্চই। স্বাধীনতার সম্মানে "আমার সোনার বাংলা" গায়কদের তৈরী স্বাধীনতার পিকচারটাও অনুমান করা সহজ হয়ে গেলো। মন মনন, আপাদমস্তক স্বাধীনতার রঙ্গে রাঙ্গানো মেয়েগুলোর সব রঙ ধুয়ে যাওয়া আর সহজ সরল দেশ প্রেমের করুন পরিনতিটাই মূলত ছিলো স্বাধীনতা দিবসের পাওয়া। বাকি গুলো যাস্ট ফর শো। ইজ ইট অ্যা গেইম? মানুষের আব্রু, সম্মান, জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই দেশ প্রেমের এই মহড়াটা আদৌ দেশ প্রেম কিনা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে। আফসোস হচ্ছে দেশ প্রেম পরিমাপক স্কেল আবিষ্কারক আজ পর্যন্ত পয়দা হলনা তাই। কয়টা দিন পিছিয়ে যাই। পরিমলের শিকার মেয়েটা যখন বিচার চাইতে গিয়েছিলো প্রধান শিক্ষিকার কাছে তখন তিনি বলছিলেন 'আল্লাহ ছি! এগুলো কাউকে বলতে হয়না। লজ্জা!' মেয়েটার দু একজন ক্লাসমেটের সাথে পরিচয় ছিলো আমার তাদের কাছ থেকেই শোনা। গেইমই তাইনা? ফ্ল্যাশ মব ফ্ল্যাশ মব শুনে শুনে কান যাওয়ার যোগাড়। ভাবলাম ইহা কি জিনিস দেখিইনা একটু। ফ্ল্যাশ মবস দেখলাম দুইএকটা আর অনেক আগের দাস প্রথার কথা মনে পড়ছিলো। তখন দাসদেরকে কুস্তি খেলে, বিভিন্ন রকম শারিরীক কসরত করে দেখিয়ে তাদের কাজের অ্যাবিলিটি প্রমান করতে হতো। আমাকে তার ছিড়া বলেন আর যাই বলেন অনেকটাই মিল খুজে পেয়েছি দুটো এই ব্যাপারে। শুধু কাজ আর অ্যাবিলিটি প্রমানের ধরনটা আলাদা। হয়তো ভাবছেন ছন্নছাড়া তিনটা গপ্প কেনো মারলাম। শুধু দেখাতে চাইছিলাম একটা মেয়ে কিভাবে নিলামে ওঠে। ফ্ল্যাশমব ধরনের অ্যাক্টিভিটিজ থেকে ফাইনাল প্রাক্টিসিং শুরু সেইটা ব্যক্তিগত ভাবে ড্রেসআপ, চিন্তার জগতের শূন্যতা, অপসংস্কৃতির অন্ধ অনুকরন যে কোনো হতে পারে। তারপর মেয়েদের নিলামে ওঠায় কিছু নারী এবং সর্বশেষ রাষ্ট্র। মেয়েরা গলে যায় নিলামকারীদের হাতে নারীমুক্তির কালারফুল ললিপপ দেখে। নিজেদের ভালোমন্দ বোধটা কাজে লাগানোর মত মানসিকতার বীজ তো সেই কবেই মালেকদের রক্তের সাথে ধুয়ে মুছে গেছে। মেয়েরা এখন রাষ্ট্রীয় ভাবে নিলামে ওঠে। এইবার হ্যাপি তো নিলামকারীরা?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন