পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )

টুকরো কথন-১

টুকরো কথন-১
প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝে হঠাত করে কিছু অনুভূতি ধাক্কা দেয়,যেনো একটা ঘোর শেষে ফ্ল্যাশলাইট! সেরকম একটা অনুভূতি আজকে আবিস্কার করলাম,মেয়ের সারাদিনের রুটিন শেয়ার করছিলাম ওর বাবার সাথে,তখন মনে হলো,
আসলে বাচ্চাপালা খুবই বোরিং একটা কাজ,যেটা একমাত্র ঐ বাচ্চাটার মা ছাড়া আর কেউ বেশিক্ষন করতে পারে না৷ সে যে ই হোক,যতোওই বলুক,ঝারুক যতো আহ্লাদ ই দেখাক,নেভার। গর্ভে ধরে কষ্ট করে দুনিয়ার নিয়ে আসার মাধ্যম যে মা,তার মতো করে ঐ বাচ্চার লালনপালন এর কষ্ট আর কেউ করতে পারবে না।
তবুও মানুষ এক্সপেক্ট করে কষ্ট পায় কেউ হেল্প না করলে কিন্তু দিস ইজ বিটার ট্রুথ।তবে যতোটা না সাহায্য চায় তারচেয়ে বেশি চায় স্বীকৃতি! মা হিসেবে তার কষ্ট,ভালোবাসা,অধিকারের স্বীকৃতি ।
হেল্প পাওয়া যায় তবে সিনসিয়ার হেল্প কয়েক বারের বেশি কেউই করে না, বোর হয়ে যায়,ইগ্নোর করতে চায়, তখন কারো কারো কাছে এটাও দোষ। মা ঠিকই বুঝতে পারে তার সন্তানের প্রতি অন্যের যেকোন সূক্ষ মনোভাব। আবার এই যে কোন মা এক্সপেক্ট করছে না,একলাই করছে এটাও আবার পছন্দ করে না অনেকে! মায়ের হাজারটা দোষ বের করে অথচ সে নিজে ঐ বাচ্চা নিয়ে দিনে ২-৩ ঘন্টা সর্বোচ্চ ৭দিন পারবে এই কাজ করতে। ২৪ঘন্টা? জীবনেও না,যতোই তার নিজের বাচ্চা থাকুক! নিজের বাচ্চা পালার অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্যের বাচ্চাকে কিছু সময় পালা যায় সব সময় সেই মায়ের মতো করে? নাহ! সব মিলিয়ে চাইল্ড রেয়ারিং বা এই যে বাচ্চা লালল-পালন আমার মতে, ভেরি ইন্টারেস্টিং এন্ড পেইনফুল রিয়ালিটি। সোজা বাংলায়,যতই দেখিবে জানিবে ততই বিস্মিত হইবে। এবং যিনি এই বিস্ময় তৈরি করেছেন,সেই রবের সাথে মা হিসেবে যে সত্ত্বা তার দেনা-পাওনা সম্পূর্ণ আলাদা। সুবহানাল্লাহ। ❤️

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
আমার ডিভাইস ভাবনা

আমার ডিভাইস ভাবনা

২২ জানুয়ারী ২০২৪

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

২৮ ডিসেম্বার ২০২৩

আমার বাচ্চা খায় না!!????

আমার বাচ্চা খায় না!!????

২৪ ডিসেম্বার ২০২৩

আক্রমনাত্মক দাওয়াহ!!!

আক্রমনাত্মক দাওয়াহ!!!

১৩ ডিসেম্বার ২০২৩