উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

রূপের আগুণ যেথায় লাগে

রূপের আগুণ যেথায় লাগে
images (1) প্রত্যেক বেপর্দা , রূপের প্রদর্শনকারী নারীই অন্য নারীর সংসার ভাঙ্গার পেছনে একটু একটু করে দায়ী . অনিচ্ছা সত্ত্বেও দায়ী, নিজের অজান্তেই দায়ী। প্রত্যেক চোখের পর্দা হেফাজত করেনা এমন পুরুষ নারীর অধিকার হরণের পেছনে দায়ী। কারন, চোখের পর্দা হারানো এমন এক পাপ যে পাপের কোন শেষ ঠিকানা নেই। এই ক্ষুধার কোন পরিমিত খাদ্য ও নেই। এক বিবাহিত আমলদার লোককে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মেয়ে দেখলে তাকায় কিনা! বলল- চোখ পড়ে যায় আর শয়তান ওয়াস ওয়াসা দিতেই থাকে। আমি জিজ্ঞেস করলাম - কি ওয়াস ওয়াসা দেয়? বললেন - শয়তান বলে খালি তাকিয়ে থাক। এরচেয়ে বেশি আর কিছু বলেনা। ভাবলাম বিবাহিত আমলদার মানুষের যদি এই ভ্রম তৈরি হতে পারে, বাদ বাকি সমাজের অবস্থাটা কী! সাধারণ ছেলেদের তাহলে শয়তান কী বলে? এটা জানলে হয়তো অনেক ফ্যাশন গার্লের বমি অ আসতে পারে। অনেকে বলবেন, ছেলেরা তাকিয়ে থাকলেই কী যে তাকাবে তার সাথেই সম্পর্ক হবে নাকি? না অবশ্যই ঐ অপরিচিত পথচারীর সাথে আপনার কোন সম্পর্কই তৈরি হবেনা, বিয়েও না। কিন্তু মনের অজান্তেই ঐ পথচারীর চেনাজানা কিছু সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতেই পারে আপনার রূপের জৌলুসে। নারীর বা পুরুষের সৌন্দর্য পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফেতনাগুলোর একটি। এই ফেতনা থেকেই পৃথিবীর নিকৃষ্টতম কাজের সূচনা হয়। সৌন্দর্য আগুনের মতো। পরিমিত ব্যবহারে অনেক ভালো কিছু হয়। কিন্তু অপরিমিত ব্যবহারে দাউ দাউ জ্বলে ওঠে। রাস্তার দেখা এইসব সৌন্দর্য অন্যের বেড রুমেও আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মনকে অতৃপ্তিতে ভরিয়ে দেয়। যেই স্ত্রীর চক্ষু শীতলকারিণী হবার কথা তাকেই চোখের বিষ বানিয়ে দেয়। সুন্দর করে সেজে সেলফি তুলে ফেইসবুকে আপলোড দেওয়ার আগে, আল্লাহর দেওয়া ঐশ্বর্য নিয়ে রাস্তায় বের হবার আগে একবার ও কি ভেবে দেখেছেন এই সৌন্দর্য অন্য কারো স্বামীর মাথা নষ্ট করে দিবে কিনা? আমার বা আমাদের মতো মেয়েদের ও মাঝে মাঝে শয়তান ওয়াস ওয়াসা দেয় বা মনে চাওয়ায় টানা টানা ডাগর চোখের ছবি আপলোড করি। কিন্তু নিজেকে টেনে ধরি। কারন, এটা একটা সমাজ। সমাজে আরও ১০ জন মা বোন আছে, তাদের কথা আমাদের ভাবতে হয়। আমরা কারো অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারিনা, উপকার না করি, সংসার ভাঙ্গার কারন হতে পারি না। আর এটাই প্রকৃত নারীবাদ হওয়া উচিৎ। যা অন্য নারীর অধিকার রক্ষার জন্য সৌন্দর্য প্রদর্শনের মতো লোভনীয় খেলা থেকে দূরে থাকবে। এই আত্মত্যাগ আরেক বোনের জন্য। বলবেন পুরুষ চোখের পর্দা করো, হুজুর কেন নজর মারো! হুজুর ও তো মানুষ নাকি? শয়তান তার ও শিরা উপশিরায় প্রবাহিত। ভেবে দেখু..., একজন হুজুর যদি শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় পড়ে, তাহলে কতো পুরুষের ওয়াস ওয়াসার কারন হচ্ছেন? পুরুষের চোখের পর্দার জবাব তাকে দিতেই হবে অবশ্যই। কিন্তু তাই বলে নিজের জবাবের খাতা ক্লিয়ার না করে অন্যকে নিয়ে মাথা ঘামানো বিবেকহীন কাজ। উদাহরণ আপনাদের সামনেই। একজন হুজুর যদি শয়তানের ধোঁকায় পরতে পারে আপনাদের রুপ চর্চার উত্তাপে, সাধারণ কতো মেয়ের ঘর রোজ রোজ ভেঙ্গে যায় এই রূপের প্রদর্শনীর জন্য? ভাবেন একবারও?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ