সম্পর্কের এক বছর পেরোতেই ছেলেটার আর মেয়েটাকে ভালো লাগে না। ভার্সিটির নামকরা বিভাগের সেই জুনিয়র মেয়েটা! এক বছর পর ছেলেটি যখন হটাত হটাতই বলে ওঠে- কালো মেয়ের এতো কিসের দেমাগ!
তখন মন প্রাণ উজাড় করে দেওয়া মেয়েটার আসলেই বলার কিছু থাকে না। অতঃপর, মান অভিমানে আত্মহ...!
মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার পেছনে বর্ণবাদ সাদা কালোর ভেদাভেদের এরকম আরও কতো কাহিনী আছে কে জানে!
আমার দৃষ্টিতে পৃথিবীতে ঘৃণ্যতম মানবতাবিরোধী একটি প্রথা হচ্ছে বর্ণবাদ। এটা এমন এক প্রথা, যা মানুষকে খুব সহজেই মানুষের সারি থেকে পণ্যের তালিকায় নামিয়ে আনতে পারে।
সব ধরণের মিডিয়া ও জনপ্রিয় সংস্কৃতি দ্বারা কালো মেয়েদের উপর অনবরত আক্রমণ চলছেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
এ এমন এক বৈষম্য, যার পেছনে মানুষের কোন দোষ বা অবদান নেই। দুটো দুই রঙ। এর চেয়ে বেশী আর কি!
এক ভদ্র মহিলাকে চিনি। ছেলের বউ সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরেও যার বউ কালো কেন, সেই দুঃখ ঘুচেনি। এমন অনেক ঘরের কাহিনী জানি, মা কালো হওয়ায় সন্তানরা যেখানে দাদা বাড়ির আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি বউ কালো হওয়ায় ৭/৮ বছর সংসার করার পরেও পরিবারের চাপে ছাড়াছাড়ি করতে বাধ্য হয়েছে, এমন ঘটনা ও সমাজে বিদ্যমান।
কি অদ্ভুত তাইনা?
কেউ যদি ফর্সা হয়, তা ধুয়ে কি অন্যরা পানি খেতে পারে? নাকি তার রঙ অন্য কারো গায়ে মেখে নিমিষেই ফর্সা বানিয়ে দিতে পারে? তাহলে ফর্সা মানুষের প্রতি আমাদের দুর্বলতা কোথায়? শুধু দেখার সৌন্দর্য। এই কি? এই চোখের একটু ভালো লাগার জন্য একজন মানুষের আবেগ অনুভূতি মেধা সব কিছুকেই আমরা তুচ্ছ করে দেই।
কিন্তু আজ যেই আমি বা আপনি এই রঙের পূজায় ব্যস্ত, কাল আপনাকেই তার মোকাবিলা করতে হবেনা কে জানে?
সবচেয়ে হাসি পেলো আজকের নারী বিষয়ক একটি নামকরা ম্যাগাজিন দেখে।নারী দিবস উপলক্ষে নারীবাদী এবং বর্ণবাদ বিরোধী লেখক বেল হুক্সের একটি কলাম ছেপেছে। যেখানে বেল হুক্স যথারীতি কালোদের প্রতি চলা বিদ্যমান অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
আবার একই ম্যাগাজিনের পেছনেই ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন। যেখানে ৫ ধাপে হওয়া ফেয়ারনেস ট্রিটমেন্ট এর কথা লেখা হয়েছে।
তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ায়?
একই মুখে দুই কথা বলার মতোই তাইনা? এই নারীবাদী পত্রিকা কিংবা এদের উদ্দেশ্য আমার কাছে আপাত দৃষ্টিতে ব্যবসাই মনে হচ্ছে
আমার ইচ্ছা এমন একটি ম্যাগাজিন বের করার যে ম্যাগাজিনের ভেতর বাহির সবই একই রকম সত্য কথায় মুখর থাকবে। বর্ণবাদ মানবতার অপমান। তা যেভাবেই হোক না কেন। আর তার প্রতিবাদ করা প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য।
উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)
বর্ণবাদ মানবতার অপমান।
ব্লগটি লিখেছেন: jerin
| ৭ মার্চ ২০১৫
সম্পর্কের এক বছর পেরোতেই ছেলেটার আর মেয়েটাকে ভালো লাগে না। ভার্সিটির নামকরা বিভাগের সেই জুনিয়র মেয়েটা! এক বছর পর ছেলেটি যখন হটাত হটাতই বলে ওঠে- কালো মেয়ের এতো কিসের দেমাগ!
তখন মন প্রাণ উজাড় করে দেওয়া মেয়েটার আসলেই বলার কিছু থাকে না। অতঃপর, মান অভিমানে আত্মহ...!
মানুষের জীবন কেড়ে নেওয়ার পেছনে বর্ণবাদ সাদা কালোর ভেদাভেদের এরকম আরও কতো কাহিনী আছে কে জানে!
আমার দৃষ্টিতে পৃথিবীতে ঘৃণ্যতম মানবতাবিরোধী একটি প্রথা হচ্ছে বর্ণবাদ। এটা এমন এক প্রথা, যা মানুষকে খুব সহজেই মানুষের সারি থেকে পণ্যের তালিকায় নামিয়ে আনতে পারে।
সব ধরণের মিডিয়া ও জনপ্রিয় সংস্কৃতি দ্বারা কালো মেয়েদের উপর অনবরত আক্রমণ চলছেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে।
এ এমন এক বৈষম্য, যার পেছনে মানুষের কোন দোষ বা অবদান নেই। দুটো দুই রঙ। এর চেয়ে বেশী আর কি!
এক ভদ্র মহিলাকে চিনি। ছেলের বউ সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরেও যার বউ কালো কেন, সেই দুঃখ ঘুচেনি। এমন অনেক ঘরের কাহিনী জানি, মা কালো হওয়ায় সন্তানরা যেখানে দাদা বাড়ির আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি বউ কালো হওয়ায় ৭/৮ বছর সংসার করার পরেও পরিবারের চাপে ছাড়াছাড়ি করতে বাধ্য হয়েছে, এমন ঘটনা ও সমাজে বিদ্যমান।
কি অদ্ভুত তাইনা?
কেউ যদি ফর্সা হয়, তা ধুয়ে কি অন্যরা পানি খেতে পারে? নাকি তার রঙ অন্য কারো গায়ে মেখে নিমিষেই ফর্সা বানিয়ে দিতে পারে? তাহলে ফর্সা মানুষের প্রতি আমাদের দুর্বলতা কোথায়? শুধু দেখার সৌন্দর্য। এই কি? এই চোখের একটু ভালো লাগার জন্য একজন মানুষের আবেগ অনুভূতি মেধা সব কিছুকেই আমরা তুচ্ছ করে দেই।
কিন্তু আজ যেই আমি বা আপনি এই রঙের পূজায় ব্যস্ত, কাল আপনাকেই তার মোকাবিলা করতে হবেনা কে জানে?
সবচেয়ে হাসি পেলো আজকের নারী বিষয়ক একটি নামকরা ম্যাগাজিন দেখে।নারী দিবস উপলক্ষে নারীবাদী এবং বর্ণবাদ বিরোধী লেখক বেল হুক্সের একটি কলাম ছেপেছে। যেখানে বেল হুক্স যথারীতি কালোদের প্রতি চলা বিদ্যমান অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন।
আবার একই ম্যাগাজিনের পেছনেই ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন। যেখানে ৫ ধাপে হওয়া ফেয়ারনেস ট্রিটমেন্ট এর কথা লেখা হয়েছে।
তাহলে বিষয়টা কি দাঁড়ায়?
একই মুখে দুই কথা বলার মতোই তাইনা? এই নারীবাদী পত্রিকা কিংবা এদের উদ্দেশ্য আমার কাছে আপাত দৃষ্টিতে ব্যবসাই মনে হচ্ছে
আমার ইচ্ছা এমন একটি ম্যাগাজিন বের করার যে ম্যাগাজিনের ভেতর বাহির সবই একই রকম সত্য কথায় মুখর থাকবে। বর্ণবাদ মানবতার অপমান। তা যেভাবেই হোক না কেন। আর তার প্রতিবাদ করা প্রতিটি বিবেকবান মানুষের কর্তব্য।
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1881 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1765 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1619 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1602 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1544
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন!
নীলজোসনা
৩ জানুয়ারী ২০২১
সে... এডুকেশনঃ বোকার রাজ্যে বসবাস
অর্ফিয়ুস
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২০
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
সেক্যুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা (পর্ব -৩)
সাফওয়ানা জেরিন
১৬ অক্টোবার ২০১৮
স্যেকুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা ( পর্ব- ২)
সাফওয়ানা জেরিন
১৪ আগষ্ট ২০১৮
স্যেকুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা ( পর্ব- ১)
সাফওয়ানা জেরিন
২৩ জুলাই ২০১৮
মাতৃত্ব একটি পেশার নাম( পর্ব -১)
সাফওয়ানা জেরিন
১৮ ডিসেম্বার ২০১৭
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)