মেয়েরা সাধারনত প্রেমিক পুরুষকে ভীষণ বিশ্বাস করে । এতোটা বিশ্বাস যে , সে বিশ্বাস অনেক সময় অতি মানবীয় ঠেকে। এতোটা বিশ্বাস , প্রতারণাহীনতার প্রতিশ্রুতি, প্রতিদান পাবার আত্মতৃপ্তি একমাত্র স্রষ্টার থেকেই আশা করা যায় , কোন মানুষের কাছ থেকে নয়। কোন মানুষের কাছে এটা আশা করা একদম অবান্তর। কিন্তু তারপরেও মেয়েরা প্রেমিকদের বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয় । আর ওদিকে প্রেমিক ভাবে - যেহেতু আমার সাথে এমন করেছে তার মানে আরও ১০ জনের সাথেও করতে পারে অথচ, আয়নায় নিজের মুখ একবারও দেখেনা তারা। যখন সম্পর্ক ভাঙ্গার সময় আসে, অবৈধ ভোগের অধিকার নিয়ে সে প্রেমিকের সামনে দাড়ায়।
কিন্তু প্রেমিক তখন কি বলে? বলে যে- আমি তো তোমাকে জোর করিনি । তুমি স্বেচ্ছায় এসেছ । এখন আবার অধিকার চাও কোন মুখে।
আজ আপনি যে প্রেমিকের করুণ চাহনি দেখে সব ছেড়ে দিচ্ছেন সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছেন কাল সেই আপনাকে চরিত্রহীন বলবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? যদিও চোখ বুঝে এমন নিশ্চয়তা দিয়েই ফেলেন তখন বোঝাই যায় আপনি স্রষ্টার মতো আর ভাগ্যের চেয়েও বেশী বিশ্বাস প্রেমিককে করছেন । অথচ , এই আপনিই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন না যে আপনার দ্বারা কখন কোন পাপ হয়ে যায়, সেই আপনি প্রেমিককে কীভাবে চোখ বুঝে বিশ্বাস করতে পারেন? এর মাধ্যমে আপনি ভাগ্যকে অপমান করেন। অপমান করেন সৃষ্টির চিরন্তন নিয়মকেও।
একটা কথা মনে রাখা খুব জরুরী । তা হচ্ছে যা অনিচ্ছায় হয় তা অন্যায় । আর মজলুম সব সময় নৈতিক সমর্থন অন্তত পায়। আর যে স্বেচ্ছায় নির্যাতিত হয়, সে নিজেই নিজের উপর অন্যায় করে। তাই তার উপর হওয়া অন্যায়ের কোন প্রতিকার নেই।
একটা নাকি সূত্রই আছে । দূরত্ব সমান সৌন্দর্য। মেয়েরা যতো দূরে থাকে ততোই সুন্দর মনে হবে তাদের। কারন, মানুষ কল্পনার রাজ্যে বসবাস করে। সেখানে মেয়েটা একটা রাজকন্যা ।প্রিয় মানুষদের আমরা আকাশে চড়িয়ে রাখি। কিন্তু বাস্তবতা হলো সংসার করতে হয় মাটিতেই । আর মনের মানুষকেও মাটিতে অর্থাৎ কল্পনা থেকে বাস্তবে আনতে হয়। নাহয় সংসার সম্ভব হয় না।
আর কাছে আসার পরেই শুরু হয় যতো সমস্যা । আজ এটা ভালো লাগে না তো কাল ওটা ভালো লাগে না । মানুষ পাওয়ার আগে কতো ব্যাকুল থাকে । আর পেয়ে গেলেই তার যেন কোন দাম থাকে না। ভাবে আছেই তো আমার!
অথচ, পরিচর্যা বেশী করা দরকার নিজের আয়ত্তে থাকা বস্তুটারই । কারন , বাকির খাতায় শূন্যই থাকে সবসময় । বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে যেসব মেয়ে সব বিলিয়ে দিয়েও মনের মানুষের কাছে সেই মর্যাদা পায় না, তারাই এই দূরের বাদ্য বেশী শুনতে পায় বোধ হয়
উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)
দূরের বাদ্য
ব্লগটি লিখেছেন: jerin
| ২১ জানুয়ারী ২০১৫
মেয়েরা সাধারনত প্রেমিক পুরুষকে ভীষণ বিশ্বাস করে । এতোটা বিশ্বাস যে , সে বিশ্বাস অনেক সময় অতি মানবীয় ঠেকে। এতোটা বিশ্বাস , প্রতারণাহীনতার প্রতিশ্রুতি, প্রতিদান পাবার আত্মতৃপ্তি একমাত্র স্রষ্টার থেকেই আশা করা যায় , কোন মানুষের কাছ থেকে নয়। কোন মানুষের কাছে এটা আশা করা একদম অবান্তর। কিন্তু তারপরেও মেয়েরা প্রেমিকদের বিশ্বাস করে। বিশ্বাস করে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেয় । আর ওদিকে প্রেমিক ভাবে - যেহেতু আমার সাথে এমন করেছে তার মানে আরও ১০ জনের সাথেও করতে পারে অথচ, আয়নায় নিজের মুখ একবারও দেখেনা তারা। যখন সম্পর্ক ভাঙ্গার সময় আসে, অবৈধ ভোগের অধিকার নিয়ে সে প্রেমিকের সামনে দাড়ায়।
কিন্তু প্রেমিক তখন কি বলে? বলে যে- আমি তো তোমাকে জোর করিনি । তুমি স্বেচ্ছায় এসেছ । এখন আবার অধিকার চাও কোন মুখে।
আজ আপনি যে প্রেমিকের করুণ চাহনি দেখে সব ছেড়ে দিচ্ছেন সর্বস্ব বিলিয়ে দিচ্ছেন কাল সেই আপনাকে চরিত্রহীন বলবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে? যদিও চোখ বুঝে এমন নিশ্চয়তা দিয়েই ফেলেন তখন বোঝাই যায় আপনি স্রষ্টার মতো আর ভাগ্যের চেয়েও বেশী বিশ্বাস প্রেমিককে করছেন । অথচ , এই আপনিই নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন না যে আপনার দ্বারা কখন কোন পাপ হয়ে যায়, সেই আপনি প্রেমিককে কীভাবে চোখ বুঝে বিশ্বাস করতে পারেন? এর মাধ্যমে আপনি ভাগ্যকে অপমান করেন। অপমান করেন সৃষ্টির চিরন্তন নিয়মকেও।
একটা কথা মনে রাখা খুব জরুরী । তা হচ্ছে যা অনিচ্ছায় হয় তা অন্যায় । আর মজলুম সব সময় নৈতিক সমর্থন অন্তত পায়। আর যে স্বেচ্ছায় নির্যাতিত হয়, সে নিজেই নিজের উপর অন্যায় করে। তাই তার উপর হওয়া অন্যায়ের কোন প্রতিকার নেই।
একটা নাকি সূত্রই আছে । দূরত্ব সমান সৌন্দর্য। মেয়েরা যতো দূরে থাকে ততোই সুন্দর মনে হবে তাদের। কারন, মানুষ কল্পনার রাজ্যে বসবাস করে। সেখানে মেয়েটা একটা রাজকন্যা ।প্রিয় মানুষদের আমরা আকাশে চড়িয়ে রাখি। কিন্তু বাস্তবতা হলো সংসার করতে হয় মাটিতেই । আর মনের মানুষকেও মাটিতে অর্থাৎ কল্পনা থেকে বাস্তবে আনতে হয়। নাহয় সংসার সম্ভব হয় না।
আর কাছে আসার পরেই শুরু হয় যতো সমস্যা । আজ এটা ভালো লাগে না তো কাল ওটা ভালো লাগে না । মানুষ পাওয়ার আগে কতো ব্যাকুল থাকে । আর পেয়ে গেলেই তার যেন কোন দাম থাকে না। ভাবে আছেই তো আমার!
অথচ, পরিচর্যা বেশী করা দরকার নিজের আয়ত্তে থাকা বস্তুটারই । কারন , বাকির খাতায় শূন্যই থাকে সবসময় । বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে যেসব মেয়ে সব বিলিয়ে দিয়েও মনের মানুষের কাছে সেই মর্যাদা পায় না, তারাই এই দূরের বাদ্য বেশী শুনতে পায় বোধ হয়
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1881 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1765 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1619 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1602 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1544
অনলাইনে আছেন:
জনপ্রিয় ট্যাগসমুহ:
সম্পর্কিত ব্লগ
ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন!
নীলজোসনা
৩ জানুয়ারী ২০২১
সে... এডুকেশনঃ বোকার রাজ্যে বসবাস
অর্ফিয়ুস
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২০
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
সেক্যুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা (পর্ব -৩)
সাফওয়ানা জেরিন
১৬ অক্টোবার ২০১৮
স্যেকুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা ( পর্ব- ২)
সাফওয়ানা জেরিন
১৪ আগষ্ট ২০১৮
স্যেকুলার তুরস্কে নারী ও নারী ভাবনা ( পর্ব- ১)
সাফওয়ানা জেরিন
২৩ জুলাই ২০১৮
মাতৃত্ব একটি পেশার নাম( পর্ব -১)
সাফওয়ানা জেরিন
১৮ ডিসেম্বার ২০১৭
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)