বিবিধ

ইচছা ছিলো না

ইচছা ছিলো না
no কোন বিবাহিত ছেলে যখন অন্য নারীর সাথে কথা বলে তখন তার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও থাকে না যে নিজের আবাদ হওয়া সংসার জীবন এই পরনারীর মোহে ধ্বংস করে দিবে। কষ্ট দিবে নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষকে । সব ঠিক থাকার পরেও ত্যাগ করতে হবে তাকে। কোন গাড়ি যখন রাস্তায় নামে , তখন সেটা অবশ্যই দুর্ঘটনায় পতিত হবার জন্য নামে না। তার সেই প্রবণতা ও থাকে না । কিন্তু কখন যে অন্য গাড়ি তাকে ঠ্যালা দিয়ে খাদে ফেলে দেয় তা সেই গাড়ি ও জানেনা। কোন মেয়ে বা ছেলে যখন পরস্পর কথা বলে বা দৃষ্টি বিনিময় করে অনেকসময় তার পেছনেও কোন বিশেষ উদ্দেশ্য হয়তো থাকে না। কিন্তু কবে যে সেই ছেলে বা মেয়েটি নিজ নিজ সঙ্গীকে ভুলে এই সামান্য কথার মোহেই ঘর ভাঙ্গে তাও কেউ জানে না। ঠিক! আপনার হয়তো এমন কোন ইন্টেনশনই ছিল না। কিন্তু হয়ে গেছে হটাত।উদ্দেশ্য হয়তো সত্যিই ছিল না। কিন্তু হৃদয় এখানে পরাজিত। আর এর নামই দুর্ঘটনা। কেউ যখন বাজে কিছু পড়ে , তখন সে এই প্রবনতায় ও পড়ে না যে সে তার ভাবী / মামীর দিকে অসৎ দৃষ্টি নিয়ে তাকানোর শিক্ষা নিচ্ছে। কিন্তু এই ইন্টেনশনবিহীন কাজগুলোকে সত্যিকারের কাজে রুপান্তরিত করতে শয়তানের কোন জুড়ি নেই । আর সত্যি কথা বলতে, পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষের মধ্যেই কিছু না কিছু নৈতিকতা থাকে । কেউই অসৎ কাজ করতে চায় না ,উদ্দেশ্য ও তা থাকে না । কিন্তু এই নেক সুরতের নির্দোষ কাজগুলোই কখন যে ইন্টেনশন তৈরি করে দেয় কে জানে! তাই তো প্রতিদিন গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট হয় , ছেলে মেয়ের প্রনয় হয়, ব্যাভিচার হয়, পরকীয়া হয় আর মানুষের জীবনেও না চাওয়া অন্যায় পাপাচার আর দুর্ঘটনা ঘটেই চলে। শয়তান মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিচরণ করছে। তাই এইসব সামান্য ইন্টেনশন তৈরি হবার রাস্তাটাও বন্ধ করে দেওয়া একটা পবিত্র জীবনের শর্তই বটে।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ