উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

প্রবাসে গৃহকর্মী-জীবনঃ সম্মানের নিরাপত্তা কতটুকু?

প্রবাসে গৃহকর্মী-জীবনঃ সম্মানের নিরাপত্তা কতটুকু?
আমিরাতে গৃহকর্মীদের ‘দাসের জীবন’ ----------------------------------------------------------- সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজন ইন্দোনেশীয় গৃহকর্মী দৈনিক ২১ ঘণ্টা কাজ করছেন। তিনি দৈনিক ২০ জনের সেবা করেন। তার কোনো সাপ্তাহিক ছুটিও নেই। আরেকজ নারীকে তিন বছর বিনা বেতনে খাটানো হয়েছে। এরপর তার বেতনের অর্ধেক মাত্র পরিশোধ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন মর্মন্তুদ চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনটির গবেষকরা বলছেন, প্রতিবেদনে তারা যেসব গৃহকর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের চারজনের একজনই লাঠি অথবা তার দিয়ে পিটুনি, ঘুষি, অবরুদ্ধ এবং থুথু ফেলার শিকার হয়েছেন। অথচ ভালো কাজ ও বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে এসব গৃহকর্মীদের আমিরাতে আনা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ম্যানিলা থেকে প্রকাশিত ৭৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ বলেছে, এসব গৃহকর্মীরা সেখানে কার্যত দাসের জীবন যাপন করছেন এবং এ থেকে সুরক্ষা কিংবা ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো আইনও নেই সম্পদশালী এই দেশটিতে। বিশ্বব্যাংকের হিসেবে মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে বিশ্বের অষ্টম ধনী দেশ আমিরাত। দেশটির  ৮০ লাখ জনসংখ্যার ৮৮.৫ শতাংশই বিদেশি শ্রমিক। এইচআরডব্লিউ জানায়, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, নেপাল ও ইথিওপিয়া থেকে আগত প্রায় ১ লাখ ৪৬ হাজার গৃহকর্মী রয়েছে আমিরাতে। গত বছর ৯৯জন গৃহকর্মীর সাক্ষাৎকার নেয় এইচআরডব্লিউ। এর মধ্যে ২২ নারী বলেছেন, তারা নিয়োগকর্তার দ্বারা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ছয়জন ধর্ষিত, শ্লীলতাহানি কিংবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ১৭ জনকে দুই সপ্তাহ থেকে ৩১ মাস পরে বেতন দেয়া হয়েছে। প্রায় সব গৃহকর্মীকে দৈনিক ১৫ ঘণ্টা থেকে ২১ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। ৫০ জন বলেছেন, তারা একদিনও সাপ্তাহিক ছুটি পাননি। এইচআরডব্লিউ বলছে, এসব ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দাসত্বের সমান।   সূত্র: রয়টার্স, আরটিএনএন   আলোচনা হতে পারে কি? এসব ঘটনার সম্ভাব্য প্রতিকার/সমাধান/বিকল্প কি হতে পারে?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ