উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

ইসলামিক ফ্যমিনিজম এবং আমরা

ইসলামিক ফ্যমিনিজম এবং আমরা
ইসলামিক ফ্যমিনিজম বাড়ছে, যার অন্যতম প্রধান কারণ মেয়েদের প্রতি আমাদের রিপ্রেশন। ইসলাম ধর্ম মেনে চলা সবার জন্য ফরজ এবং সেটা ছেলে মেয়ে সবার জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়েদের সামান্য দোষ ত্রুটি নিয়ে আমারা ঝাঁপিয়ে পড়ি। কি অনলাইন কি বাস্তব জগত, একটু ছাড় দিতে চাই না এমনকি নুন্যতম ভদ্র আচরণের ধার ধারি না। অনেক স্বঘোষিত তাকওয়া পুলিশেরা সম্পূর্ণ আনহুত হয়ে মেয়েদের হিজাব, সাজসজ্জা বা পোশাক নিয়ে তীব্র ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন। এর প্রথম সমস্যা হল, এটি ভদ্রতা পরিপন্থি। ইসলাম ধর্ম কোন অমুসলিমেরর সাথেও অভদ্র আচরণ সমর্থন করেনা। দ্বিতীয়ত, এটি যিনি আসলেই ভুলবশত কোন ধর্মীয় রীতি পালন করছেন না তাকে ডিফেন্সিফ করে তোলে। তীব্র ব্যঙ্গ এবং অশোভন সমালোচনার মুখে যে কেউ তার ভুল অবস্থানকে জাস্টিফাই করতে চেষ্টা করেন। এর ফলে নারীদের অনেকেই একশনের বদলে রিএকশনারি হয়ে উঠেন। এটাও ত বাস্তবতা যে দেশের সব মসজিদে মেয়েদের নামাজের জায়গা নেই। আমি নিজেই আমার আম্মুকে নিয়ে নামাজের সময় জায়গার অভাবে বেশ কয়েকবার বিব্রত বোধ করেছি। রাসুল (সঃ) তাঁর স্ত্রীদের সাথে কি রকম আচরণ করেছেন এটা শেখা দরকার। নবীজি একদিন ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন কোন খাবার আছে কিনা। উত্তরে তাঁর স্ত্রী বললেন-- শুকনো রুটি এবং ভিনেগার আছে। তিনি বললেন- রুটি আর ভিনেগার কতই না চমৎকার খাদ্য। তাঁর স্ত্রী যেন কষ্ট না পায় তাই তিনি এ কাজ করেছিলেন। আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন- নবীজি তাকে কখনো জিজ্ঞেস করেন নি তিনি এ কাজ কেন করেছেন সেটা কেন করেন নি ? নিজের স্ত্রীদের উপর মানুষের অধিকার অনেক বেশি। তাছাড়া তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী। এটা খুবই স্বাভাবিক যে আয়েশা তাঁর এই দাম্পত্য জীবনে কোন না কোন ভুল করে থাকবেন। নবীজি সেটা নিয়ে কোন কড়া কথা বলেন নি । কোন জিনিস আপনাকে এত উৎসাহিত করে যে আপনি প্রায় অপরিচিত একজন মহিলাকে অনলাইনে তাঁর বেশভূষা নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করেন ? আপনার এই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কি তাকে ইসলামের দিকে নিয়ে আসবে নাকি ইসলাম এবং ইসলামিস্টদের সম্পর্কে ভীতি সৃষ্টি করবে ? নবীজি বলেছেন- তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম যে তাঁর স্ত্রীদের প্রতি উত্তম, আমি তোমাদের মধ্যে আমার পরিবারের প্রতি উত্তম। মনে রাখবেন-সব পুণ্যবান লোকের একটা অতীত আছে। আপনার কোন বড় ভুল আছে যেটার জন্য আল্লাহ আপনাকে পাকড়াও করতে পারেন। অন্যের ভুলের ব্যপারে নমনীয় হোন। এটাই নবিজীর সুন্নাত। ইসলামের দাওয়াত অশোভন আচরণ কে সমর্থন করে না। যদি মেয়েদের/নারীদের কাউকে অানইসলামিক কিছু করতে দেখেন সে ক্ষেত্রে অন্য কোন নারী যিনি বয়সে এবং প্রজ্ঞায় বড় তাকে বলা যেতে পারে যিনি সুন্দরভাবে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার সামর্থ্য রাখেন (যদিও আমি নিশ্চিত অনেকের জন্য এটা হবে পর্দার লঙ্গনের মত বিষয় কারণ আপনি বৈধ সীমা অতিক্রম করে ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং নিজে ফিত্নায় জড়াবেন, এবার আপনি যতই তাকওয়াবান হোন না কেন) তাহলে তাকে আহত করে না বরং ভদ্রভাবে বলা যেতে পারে যেটি তার মনে দাগ কাটবে, তার চিন্তা এবং মরাল কনশাসকে জাগ্রত করবে। সে ইসলাম ধর্মের কি ফজিলত যেটা অন্তরে প্রবেশ করে না কেবল বাহ্যিক আচরণসর্বস্ব ? (হাদিসের বর্ণনায় শব্দের হেরফের হতে পারে)।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন