বিবিধ

সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?

সোশ্যাল মিডিয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
আধুনিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব কতটা বেশী, যারা আরব স্প্রিং সম্পর্কে কিছুটা জানেন তারাই বুঝতে পেরেছেন। মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার বিকল্প হিসেবে তথ্য প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে বা বিপক্ষে যে পক্ষেই অবস্থান নিন না কেন আপনাকে মানতে হবে যে শাহবাগ আন্দোলন বাংলাদেশে একটা ভাল ইমপ্যাক্ট তৈরি করেছিল যার নেপথ্য ভূমিকায় ছিল সোশ্যাল মিডিয়া।   সম্প্রতি ইসরাইল সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে ইসরাইলের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানোর জন্য সে দেশটির সরকার ইয়ুনিভারসিটির ছাত্রদেরকে স্কলারশিপ দিবে। এসব ছাত্ররা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে আন্তর্জাতিক অডিয়েন্সকে এড্রেস করবে যাতে তাদের সাথে ইসরাইল সরকারের সম্পৃক্ততার কথা কেউ জানতে না পারে। এ ঘটনা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব আরও ভাল বোঝা যায়।   প্রফেসর নরম্যান ফ্লিঙ্কেলস্টাইন  ইসরাইল-ফিলিস্তিন কনফ্লিক্ট বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি ইতিমধ্যে এ বিষয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন এবং বিভিন্ন বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে তাকে এই ইস্যুতে একটি নতুন বই লিখতে বলায় তিনি বলেন মানুষ এখন আর আগের মত বই পড়েনা। এর চেয়ে ফেসবুক টুইটারে প্রচারণা বেশী কার্যকর।   ফেসবুক বা টুইটারে কোন ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে চাইলে আবেগ বা হেটস্পিচ যথেস্ট নয়। দরকার প্রস্ততি, জানাশুনা এবং আর্গুমেন্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের ক্ষমতা। পাশাপাশি অন্যের কাছ থেকে শেখার প্রবণতা এবং সর্বোপরি প্লুরালিস্টিক মনোভাব। আপনার সাথে সকল বিষয়ে একমত হওয়ার সবার প্রয়োজন নেই, দরকার আইডিয়ার আদান-প্রদান। অনেক ইস্যুতে অনেকে আপনার সাথে দ্বিমত করলেও আপনার পরমতসহিষ্ণুতার কারণে পরবর্তীতে আপনার আর্গুমেন্ট দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। তাই  যে কেউ আপনার কথার বিরুদ্ধ যুক্তি উপস্থাপন করলেই তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তার মাইন্ডসেটআপ বুঝতে হবে। কাউকে আনফ্রেণ্ড করে দিলেই তার মতামত বদলে যায় না বা তার অস্তিত্ব উধাও হয়ে যায় না। তাই সবার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজের মতামত প্রচার করা দরকার। পাশাপাশি অহেতুক ঝগড়া করে এরকম লোককে এড়িয়ে চলাই ভাল।   নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সময়ের সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব আরও বাড়বে। অতএব, যে কোন ইস্যুতে জনমত তৈরিতে বা কোন মত প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে অনেকে বাড়তি আবেগবশত আনভেরিফাইড ইনফরমেশন শেয়ার করে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেন। এ ব্যপারে সতর্ক হওয়া দরকার।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন