কি আর বলব তোমাকে!
ও যখন জামিল কে বর সাজার বদলে কাফন পরতে দেখলো
তখন ঠোঁট গুলো ওর নড়ছিলো।
আমি কান পেতেছিলাম শুনব বলে।
জামিলের মাথায় হাত বুলিয়ে ও হয়তো বলছিলো 'আসছি আমিও'

কিংবা ওই বাড়ির ছেলেটার রক্তাক্ত হাসি আমাকে মোহিত করে।

কিংবা কোনো বিশ্ব মোড়লকে স্মরণ করিয়ে দেয়া ছেলেটা
যে মনে করিয়ে দিচ্ছিলো রকেটের উপরও একজন আছেন।

সেইযে দাদুটা!
মনে আছে তার কথা?
চশমাটা আর পরা হয়ে উঠলনা তার।

হয়তো বুঝে গেছ আশে পাশে সব গলিতে এখন শুনশান সতর্কতা
ওইযে ওই ভাঙা বাড়িটা থেকে কে একজন বেরিয়ে এলো।
অন্ধকারে আমি ওর চোখে একটা ঝলক দেখেছি জানো?
বিকেলেই সে দাঁতে দাঁত চেপে বোনটাকে কবর দিয়ে এলো
তার পাশে দেড় হাত লম্বা আরেকটা কবর।
দেড় হাত কাফনের পুটুলিটা ও যখন নামাচ্ছিলো
তখন ইঞ্চি খানেক লম্বা দুটো আঙ্গুলে চুমু খেয়ে এই প্রথম বার কাঁদতে দেখেছি ওকে।

উঁকি দিয়ে দেখবে ওর মুষ্ঠিবদ্ধ হাত?
রকেট বা বোমারু বিমানগুলোর দিকে ওরা নির্বিকার চেয়ে থাকে।
ওরা মৃত্যু কে না বরং মৃত্যুই ওদের দেখে ভড়কে যায়।
তাইতো ছয়কোনা তারকার হিম্মত নেই ওদের সামনে এসে দাঁড়াবার।
তাই সাবাত ডে'তে গোলটুপির রক্ষাকবজ পরেও খুব বেশি অনিরাপদ।
প্যালেস্টাইন বলো বা গাজাই বলো ছয়কোনা তারা তাঁদের আকাশেই স্থান পায়নি!
বিশ্বাস হয়না? মিলিয়ে দেখো তবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)