বিবিধ

মেহেরপুরের ডাইরিঃ ৪

মেহেরপুরের ডাইরিঃ ৪
৩ মে, দুপুর ০২:৩৫, ফিন টাওয়ার, মেহেরপুর। ব্যাকপ্যাক একটা দারুণ ব্যপার, জানো? দুনিয়ার তাবৎ জিনিসপাতি গুছিয়ে ফেলা যায়, হ্যান্ড ব্যাগের মত অপরিসর নয়। আর আমার একটু বেশিই আয়োজন লাগে। নেইলকাটার থেকে শুরু করে জেল পেন, বাচ্চাদের কাপড় একটু বাড়তি, না নিলে অস্বস্তি হয়। মাঝেমাঝে মনে হয় হারমিওনের 'বীডেড ব্যাগ' এর মতো আমারও থাকতো যদি একটা! আস্ত তাঁবু, লাইব্রেরির সমান বই, চুলের ক্লিপ সব ভরে ফেলা যেত হাতের তালুর সমান ব্যাগে, আর কাজের সময় 'অ্যাকিও' বললেই হাতের কাছে দরকারের জিনিসটা। যা হোক, সেটা তো আর হচ্ছে না, সুতরাং দু'জনে দুইটা ঢাউস ব্যাকপ্যাক কাঁধে ঝুলিয়ে নিরুদ্দেশ এসেছি। হাত খালি, বাচ্চাদের ধরা যায়। ন'টার ঘুম দশটায় ভেঙে নাশতা খেয়েছি। অনিচ্ছায় কষ্ট দেয়া হয়েছে মানুষগুলোকে, অথচ এমন ভাব করছিলো বাড়ির সবাই, যেন আমরা কি আকাঙ্ক্ষিত মেহমান। বাসাটা থেকে বের হয়ে ভ্যানগাড়ি। বললাম, বাসস্টপেজ যাবো। চারদিকে চারজনে পা ঝুলিয়ে সে ই আড্ডা হল। টিকিট কেটে বাসে বসে একটা দরকার সারলাম। চা। আহা সকাল থেকে চা হয়নি। কোথায় থাকে রোদ জ্যাম ভিড়। মেহেরপুর নেমে আবার জিগেস করে হোটেলে এসেছি। সিট বুকিং দিয়ে বসে আছি, বাচ্চাদের বাবা খাবার আনতে যাবেন। ঢাকা থেকে ফোন পেয়ে পেয়ে ব্যকুল হয়ে এক ডাক্তার ভাই এসে বকা দিলেন। কেন হোটেল? বাসায় কেন যাচ্ছি না? আরও একশ আবদার। তাঁর পরিচয়? আসছে... পর্ব ৩ পর্ব ২ পর্ব ১

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ