সাহিত্য

নারী না মানুষ ভাবুন

নারী না মানুষ ভাবুন

সেদিনের গল্পটা একটু অন্যরকম।সকালের আকাশটায় মেঘ জমেছিলো। ঘুম থেকে জাগেনি মেয়েটি।বাড়ির মানুষ গুলো জেগে তোলার জন্য বললো মেয়েদের এতো বেলা অব্দি ঘুমোতে নেই, সে ঘুম থেকে ওঠে, শরীরে জ্বরের ঘন প্রকোপ তবুও উঠতেই হবে কয়েকদিন পরই বিয়ে তাই সকালে ওঠার প্র্যাকটিচ করছে সে। নাস্তা বানানো শিখতে হবে। ছেলেদের পেট দিয়ে নাকী মনে ঢুকতে হয়।উঁহু একটা সিরিয়াল তো বাদ পড়ে গেলো সোজা মাঝখানটায় কি করে ঢোকা যায়, হয় উপরের সিরিয়াল দিয়ে ঢুকতে হবে নয়তো নিচের। ব্রেন দিয়ে তো সম্ভব না তাই বাকীটা দিয়েই! ভাবতে থাকে মেয়েটা।

আর একটা গল্প ছিলো,
মেয়েটা শুনেছিলো মহিলা সাহাবীগনের প্রশংসা করা হতো এই বলে যে সে এতোটা হাদীস বর্ণনা করেছিলো, এতো যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, এতো ইবাদাত করেছিলো......ছেলেদের সাহসী মা হয়ে যুদ্ধে পাঠিয়েছিলো! কিন্তু এখন মেয়েদের প্রশংসা করা হয় এতো ভালো রান্না করে, এতো সৌখিনতায় ঘর গুছিয়ে রাখে, সবসময় সেজেগুজে পটের বিবি হয়ে থাকে। পারলে স্বামীর পায়ের তলায় পড়ে থাকে, স্বামী পিটালেও মুখে মুখে তর্ক করেনা... কারণ সে জানে স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর জান্নাত(!), ছেলে মেয়ে রেগুলার চিকেন ছাড়া খায়না তাই রেডি রাখে। তাহলে সুযোগ কোথায় আর কিছু করার? সে কবিতা লিখতে জানতো কিন্তু সংসারের ভালোর জন্য ছেড়ে দিয়েছে। ডাক্তারী পড়ায় চান্স পেয়েছিলো, স্বামী চায়নি বলে বাদ দিয়েছে। কি লক্ষী বউ(!)

মেয়েটি হাসে সমাজে স্থীর হয়ে যাওয়া নিয়মগুলো খেয়াল করে। যখন কিনা নারী সাহাবীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হতো তুমি কি অমুককে তালাক দিতে চাও? অথচ এখন বলা হয় সব মুখ বুজে সহ্য করা হলো নারীর রীতি। এখানে নারীকে মানুষ ভাবা হয়না, প্রয়োজনীয় উপকরনের মত ভাবা হয় প্রয়োজন ফুরালেই নতুন আনার চিন্তা করে বলা হয় "বহুবিবাহে অনুমোদন ও উৎসাহ দেয়া উচিত"!


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন