অনির্ধারিত

কাপুরুষের সভ্যতা

কাপুরুষের সভ্যতা
ওরা যে উদর থেকে আসে, যে ঘরে নেমে আসে, অদৃশ্য ফুলেল শুভেচ্ছা বর্ষিত হয় রবের পক্ষ থেকে! কে জানে সেই মাহাত্ম্যের কথা! ওরা হয়ে ওঠে - কন্যা, বোন, পত্নি অথবা মা! দুনিয়ার প্রান্তে প্রান্তে প্রস্ফুটিত সব ফুলের ঘ্রাণ ওদের সুশোভিত অন্তরে, কস্তুরী মাখা আলোকবর্তিকা ওদের চোখের কিনারে! চুলের বিনুনিতে জমে থাকে সুকৌশলী দক্ষতা! তুমি কোন চোখে দেখলে তাকে? যে চোখে অবাধে আটকা পড়ে অন্যায় কালিমা। তুমি খুজঁতে পারোনি তার মেয়েবোধ লালিমা! তোমার দৃষ্টিতে শুধু শারীরিয় আলাপন, তোমার কোপের তোড়ে খাদিজারা মৃত্যুমুখে পতিত হয়, ঘরের দিকে ফিরতে থাকা তনুরা - রক্তাক্ত লাশ হয়ে ফেরে! তোমার পৌরষ, কদর্য ধুলোতে জর্জরিত হয়ে পরাজিত হয় তোমার কাপুরুষ কামনার কাছে! তুমি আগুনে দগ্ধ করো নুসরাতকে! ক্ষত-বিক্ষত করে ছেড়ে দাও নির্জনতায়! অন্ধকারে তুমি হায়েনা হয়ে ধরা দাও, একাকীনিকে তুমি কলুষিত করেছো প্রতিদিন! সেই তুমি বোনের রক্ষাকবচ হয়ে হাল ধরো কখনও কখনও! মেয়ের চুলের ক্লিপ ঠিক করে দাও পরম যত্নে! মায়ের আঁচলে মুখ মুছে তৃপ্ত হও অনায়াসে! স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে মিথ্যের প্রাসাদ সাজাও কি গভীর ভালোবেসে! সেই তুমিই তো! সেই তুমিই বলো! দিনের আলোর মতো সূর্য হবার চেষ্টা করে যাও! রাতের আঁধার ভুলে চন্দ্র হবার ভান করো প্রতিবার! কি নিখুঁত অভিনয় করে পার পেয়ে যাও প্রতিদিন!

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন