সাহিত্য

বিবর্ণ পার্থক্যগুলো

বিবর্ণ পার্থক্যগুলো
10442494_658070407607974_2293483777270642675_n অগণিত মুখের ভীড়, দেখি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত কারো বা বিবর্ণ স্বরূপ, কারো হাস্যোজ্জ্বল মুখাবয়ব! দিনান্তে কারো আছে ঘরে ফেরার টান! কেউবা পথের ধারেই খোঁজে মাথা গোজার ঠাঁই! আজও সেই বিভেদ আমায় কাঁদায়, অনন্ত সম্ভারে সাজানো স্বপ্নগুলোর চোখে বৃষ্টি ঝড়ায়, নিমগ্ন রজনীতে ঘুমহীন আঁখি দুটো, অনাকাংখিত যোদ্ধার মতো বিবেকের সাথে লড়াই করে যায়! মানুষ হয়েছি কেন তবে? পাখি বা গাছ হতে পারতাম! বৃষ্টি বা মেঘ হতে পারতাম! তবে কী প্রান্তিক সিদ্ধান্তগুলো দিনের শেষে প্রাপ্তির হিসাব খুলে বসে? এত পেতে চাওয়া কেন? ত্যাগের মানসিকতা হারিয়েছে কেন তবে? ঐ আকাশের বিশালতা দেখে লজ্জা পেতে হয়, বাতাসের ত্যাগ দেখে মুর্ছা যেতে হয় স্বপ্নগুলোকে সেভাবেই সাজানো প্রয়োজন, যেভাবে মানুষই সমুদ্র হয়ে যায়! সব হারানো নিঃস্বদের জন্য স্বপ্ন সাজানো যায়! ঐখানে ঐ কুড়েঘরগুলোতে বিষন্নতার আগমন ঘটে প্রতিনিয়ত, বিলাসিতা উপহাস করে চড়ুই পাখির মতো! আহা মানবতা যন্ত্র হয়ে যেওনা, দয়া করে, মানব অবয়বের মানব, মানবীই হও তবেইতো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জণে বাধা থাকেনা, না পাওয়ার ভারে কষ্ট এসে ভীড় করেনা! এক বিষন্ন রাত তখনই ঝলমল করে দুঃখ সরাবে!

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন