বিবিধ
অতঃপর বিতর্কিত তিন “ন” এবং আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি

এ পৃথিবীর তিনটা বিতর্কিত জিনিষ; আমার (সাথে অনেকের) মতে হলঃ নবী, নারী এবং নেত্রী।
এ তিনটা বিষয় পৃথিবীতে যত বেশী লাইমলাইটে এসেছে তা বোধহয় আর কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে ঘটেনি।এত বেশি বিতর্ক, বিভক্তি বা রক্তাক্ত ঘটনা অন্য কোন বিষয় নিয়ে হয় নি।
প্রথমত নবী প্রসঙ্গ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়। কারা করেছে? নিশ্চয়্-ই আপনার আমার মতো মানূষই তো ! সকল ধর্মের-ই একে/ একাধিক জন নবী/রাসুল/ত্রানকর্তা আছেন( তো যে নামেই ডাকা হোক না কেন?)। প্রতিটা ধর্মগ্রন্থ জোড়ালোভাবে পড়লে বোঝা যাবে পৃথিবীর প্রথম মানব আদম বা Adomবা মনু বা ইত্যাদি ইত্যাদি; আবার প্রথম মানবী হাওয়া,ইভ বা শতরুপা ইত্যাদি ইত্যাদি। যে নামেই ডাকা হোক না কেন। ( আমাদের দেশের এলাকায় “পুরি” হলো খাওয়ার জিনিষ আর সিলেট এলাকায় পুরি খেতে চেয়ে নিজেই কিছু মানুষের খাবারে পরিনত হয়েছিলাম)। যাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল পরিক্ষা করার জন্য ( না একজন আরেকজনকে নাস্তিক, কাফির, জাহান্নামী ঘোষনার জন্য) এদের-ই বংশধরদের আমাদের মাঝে তাদের প্র্রয়োজনে বিধাতার নির্দেশে ধর্ম নিয়ে আসেন,বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্করণ।কিন্তু আমরা কেউ হয়তো আমাদের আদি পিতামাতার আনা বিভিন্ন সংস্করণ বিভিন্ন জন মেনে চলছি।যার মূল বিষয়বস্তু এক ছিল/আছে/থাকবে কিন্তু আমরা আজ বন্দি হয়ে গেছি কালের পরিক্রমায় আমাদের সেই আদি পিতামাতা কর্তৃক দায়িত্ব দিয়ে যাওয়া মুফতি, ঠাকুর,পুরোহিত বা যাজক ফাদারদের বানানো (সুন্নাহ)নিয়ে।আমরা আজ বিরক্ত,রক্তাক্ত শুধু এদের জন্যই। আমরা আাজ বিরক্ত,রক্তাক্ত শুধুমাত্র এদের জন্যই। আমর কখোনোই আমাদের আদি পিতার রুপ দেখতে পাবো না শিবসেনার-মাতৃগর্ভের মধ্য হতে তুলে ভ্রূনের শাস্তি দেয়া দেয়া শুধুমাত্র মুসলমান হয়ে জন্ম নেয়ার অপরাধে বা জে.এম.বির বোমা বষণ তথাকথিত বিদআতের অপরাধে বা ইসরাইলের IDF বা তাদের লালনপালনকারীদের বক্তব্য “All Muslim mother must be killed because they give birth to a snake like jihadist” বা নয় দিনের শিশুও সন্ত্রাসী হবার অপরাধে স্নাইপারের গুলি খাওয়ার মধ্যে। অথচ এরা সবাই ধর্মের জন্য নাকি যুদ্ধ করছে ধর্মের জন্য!!!
এবার নারী প্রসঙ্গ। ধর্মের সকল ধ্বজাধারীদের ব্যাপক এলার্জী আছে এ বিষয়টাতে। কিন্তু তারাও ভূলে যান তাদের ও সৃষ্টি নারীরুপী এমনই এক মা হতে। এখন যদি নারী এবং নারী অধিকার বলতে তাসলিমা নাসরিন বা সানি লিওনের বা ইত্যাদি ইত্যাদিদের স্বাধীনতাকে বুঝেন বা ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম মেখে(অন্য ছেলেদের চোখে ধান্দা লাগিয়ে বলতে বাধ্য করা আহ! আরেকটু নিচে লাগালে!!) অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিজ্ঞাপন দেয়াদের অধিকার বুঝেন তাহলে আমার আবারো ভাববার; কিন্তু আপনার কিছু বলার নাই।
অতঃপর তৃতীয় “ন” নেত্রী প্রসঙ্গ। “ইসলাম ধর্ম নারী নেতৃত্ব হারাম করে নারীদের ঘরের মাঝে বন্দী করেছে বা হিন্দু ধর্ম নারীদের একবার পন দিয়ে পরবর্তীতে স্বামীর মনোরঞ্জনের মেশিন বানিয়ে দিয়েছে”- ইত্যাদি অভিযোগ এই তথাকথিত নারী নেত্রীদের; যদি আপনি এ প্রথার বিরোধিতা করেন।
এখন যদি আপনি শুনে (সুন্নি নয়) মুসলমান হন বা রোববারে চার্চে গিয়ে গড আমায় তুমি মাফ করো বলেন আর বেরিয়েই মানুষ মারার মেশিন চালু করেন তাহলে আপনি সত্যিই চমকিত হবেন এগুলো শুনলে এবং সত্যিই আপনি তাদের দলে। অপনি শুধূ কয়েকটা পিতৃপ্রধান ও মাতৃপ্রধান পরিবারের দিকে তাকান আর ধর্মের বিষয় সাইডে রেখে তুলনামুলক বিশ্লেষন করেন । আশা করি ধর্ম কেন তথাকথিত নারী নেতৃত্ব বর্জন করেছে।
এই বিতর্কিত তিন “ন” কে সম্মানিত তিন “ন” তে পরিনত করার ক্ষেত্রে আমার অপরিপক্ক গোবরে মাথার কিছু বিশ্লেষণঃ-
১.নবীঃ আপনি আপনার ধর্ম নিয়ে থাকুন। কেউ যদি এন্ডয়েড বা লুমিয়া সিরিজ দেখেও বলে না আমার নোকিয়া ৩১১০ ই ভাল তাহলে তাকে তা নিয়েই থাকতে দেন না কেন? ধর্মের সব©র্শ্রেষ্ঠ সংস্করন দেখেও আপনি বাতিল কে নিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আমার প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আমাকে সঠিক জ্ঞান দিক।
২. নারীঃ একজন বড়বোন বলেছিলেন “নারী অধিকার বুঝিনা, সমানাধিকার বুঝিনা আমারটুকু আমার দাও তোমারটুকু তোমার থাক। কোথায় বেশি কোথায় কম তা হিসাবের সময় আমার নেই।আমার মনে হয় সমানাধিকার কখোনো ভাল ফল বয়ে আনে না।”
৩. নেত্রীঃ রা্স্তায় দাড়িয়ে গলা ফাটানোতেই নেত্রীর সফলতা লাভ করে না। বরং একজন আব্দুল কাদের জিলানী, একজন গৌতম বুদ্ধ, একজন শেখ মুজিব বা একজন জিয়াউর রহমানের জন্ম দেয়া আবং তাদেরকে সেখানে পৌছানোও কিন্তু একজন নেত্রীর কাজ। সর্বোপরি এখানেই নারীর সফলতা লাভ নির্ভর করে।
সিদ্ধান্ত আপনার; জ্ঞান আপনিই অর্জন করবেন।
আগস্ট ০৬,২০১৪
এটা আমার প্রথম ব্লগ এ ব্লগে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)