অনির্ধারিত

ভাষার বৈচিত্র আর আমার দূর্ভাগ্য

ভাষার বৈচিত্র আর আমার দূর্ভাগ্য
Inside a library পৃথিবীটা যে কেমন? হটাৎ করে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা সারাজীবন মনে থাকে। তেমনি একটা ঘটনা ভাষা নিয়ে ঘটা ঘটনা যা সিলেটে ঘটে।      কাহিনীটি ব্লগার “নীলজোসনা’’র প্রত্যাশায় লেখা। বিষয়টা ছিল এ রকম। আমি সবসময় একটু ভাজা পোড়াতে বেশি পেটুক। ভাজা পোড়া পেলে আমার অন্য কিছু লাগতো না। বিশেষ করে “পুরি”- ময়দা দিয়ে রুটির মতো করে তেলে ভাজা হয়। যাহোক সিলেটে গেলে দেখি এক লোক পুরি ভাঁজছে আর অনেকে খাচ্ছে। আমি লোভ সামলাতে পারলাম না। দোকানদারকে বললাম কাকু আমাকে দুটি পুরি দেন তো । পাশ থেকে একজন বলে উঠলেন -   কি বললেন? -   আমি দুটো পুরি খেতে চাইলাম কাকুর কাছে। -   কি বললেন পাশের থেকে আরেকজন বলে উঠলেন। -   ভাই দুটো পুরি খেতে চেয়েছি। আর বললাম এখানকার লোকগুলো কি আমার ভাষা বুঝতে……… বলতে না বলতে একটা ঘুষি, তারপর কিল। আমি বললাম কি ব্যাপার ভাই? কেউ শোনে না। আমার উপর দিয়ে কিল ঘুষির বন্যা বয়ে যেতে লাগল। আমি আসলেই বুঝতে পারছিলাম না বিষয়টা কি। আমার প্রতিরোধশক্তি একসময় হারিয়ে গেল। ভাবছি এবার-ই বোধহয় মারা যাবো।  কেউ একজন বলে উঠল “পুয়াটারে আর না মারিছ” গোছের কিছু একটা। মার টা থামলো এক সময়। কিন্তু ততক্ষনে আমার উঠে দাড়ানোর শক্তি শেষ। একজনকে ডেকে বললাম “আমায় মারলেন কেন?” লোকটা যেন আকাশ থেকে পড়লেন। -   মানে কি? -   আপনারা আমায় মারলেন কেন তা বুঝতে পারি নি তো। তারা বুঝতে পারলো আমি এখানকার না। বললো “ভাই আমাদের এখানে অবিবাহিত মেয়েমানুষদেরকে পুরি বলা হয়। আর তুমি পুরি খেতে চাওয়াই।” সবাই তখন বুঝতে পারছে তারা কি করছে। আমি বাচ্চা ছেলে। তার পরেও তারা মাফ চাচ্ছে। গা হাত পা মালিশ করে দিচ্ছে। বিবেকের যাতনা হয়ে যা হয় আর কি!! >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>> সামান্য দুরে বসবাস করে আমাদের কি দুগতি। অথচ একের ধর্মের উৎপত্তি একেক অঞ্চলে। হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মাইল দুরে। যে ধর্ম আমাদের মাঝে শান্তির বানি নিয়ে আসলো একেক মহামানবের হাত ধরে। যে ধর্মের উদ্দেশ্য মানবতার মুক্তির জন্য। সে ধর্মই আজ সবচেয়ে বড় কারন মানবতা ধ্বংসের।ইরাকে মুসলমান মারছে ভিনধর্মীদের, প্যালেস্টাইনে ইহুদিরা মারছে মুসলমানদের, বাংলাদেশে মুসলমানেরা নির্যাতন করে হিন্দুদের বা ভারতে কাশ্মির এ। যা কিছু ঘটছে শূধুমাত্র ভিন্নধর্মী হবার কারনে। প্রতিটা ধর্মের মুলবানী এক হওয়া সত্তেও শুধু মাত্র ধর্মটা গুটিকয়েক মানুষের হাতে গিয়ে হাস ফাস করছে; বাচার জন্য। আমরা কি পারি না?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)