সাহিত্য

পলাশীর প্রান্তর

পলাশীর প্রান্তর
একটি মুসলিম জনপদ তাকিয়েছিলো বিজয়ের দিকে মুসলিম নবাবী রক্ষার বিজয় প্রত্যাশার পাখিরা ডানা মেলেছিলো চারেদিকে।। মহান স্বত্তার বাণী আল কুরআন ছুয়ে শপথের কথাগুলো শক্ত হলো হাতে হাত মিলিয়ে হৃদয়ের সমস্ত আবেগ, সমস্ত দৃঢ়তা একসাথে হলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবদান রাখবে যুদ্ধ বিজয়ে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে।। এভাবেই চলছিলো একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি এতো শুধু যুদ্ধ নয়, নয় শুধু নবাবী রক্ষা পুরো মুসলিম জনপদের দোদুল্যমান পরিনতি।। বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব সিরাজ উদ-দৌলা- তার বিশ্বাসী সেনাপতি মীরজাফর, আর অগণিত শুভাকাঙ্খীর আস্থাশীল আচরণ অনিবার্য বিজয়ের স্বপ্ন বুনে যাচ্ছিল, মুসলিম জনপদের মনিকাঠায় অগণন প্রতিক্ষণ।। সিরাজউদ-দৌলাহ! মুসলিম জনগনের আশা আকাঙ্খা, আস্থার কেন্দ্রবিন্দু, সবশেষে রক্তাক্ত, পরাজিত, প্রতারিত। সমস্ত বিজয় যেন সিরাজের সাথেই যেন নিহত হলো।। মীর জাফর! একটি নাম, একজন বিশ্বাসঘাতক শেষ করে দিলো মুসলিম নবাবী। মীর জাফরের পরিনতি? সেতো অনিবার্য, মুনাফিকের শাস্তি সেতো অনিবার্য, ইতিহাসের জঘন্যতম প্রতারকের নবাব হওয়ার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো।। আজও যেন রক্তমাখা পলাশীর প্রান্তর, আজও বিশ্বাসঘাতকদের অপর নাম মীরজাফর আজও সত্যের পরাজয়, যেন পলাশীর পরাজয়, সমস্ত বিবেকের সমাধান যেন সেখানেই স্থবির হয়ে পড়ে আছে। সেই যে পরাজয় আজও আসেনি প্রকৃত বিজয়, কবে আসবে? আদৌ আসবে কী? নাকী আসবেনা??

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)