অনির্ধারিত

বৈশাখী সম্ভ্রম

বৈশাখী সম্ভ্রম

এক মহিলা আত্মীয় ফোন করেছেন,
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে। দোয়া দিলেন। শুনলাম শুধু, প্রতিউত্তরে শুভেচ্ছা না জানিয়েই কথা শেষ করলাম। গত বছর পর্যন্ত ও আমিও জানিয়েছিলাম সৌজন্যতা রক্ষায়। এবার পারলাম না।

এই বৈশাখ আমার বোনের সম্ভ্রম হরণ করতে আসে। আমার ভাইয়ের দৃষ্টির সৌন্দর্য নষ্ট করে তার অন্তরকে কলুষিত করতে আসে! এই বৈশাখ ধরে জাতি(মুসলিম) আমার রবের অস্তিত্বে শিরকের কালিমা লেপন করে অনায়াসে। মনের গভীরে কোন প্রতিবাদ করতে না পারার যন্ত্রণা!

গরীব দুস্থ মানুষগুলোর সাথে এটা একটা উপহাসই বৈকি! ধনীর দুলাল দুলালীরা যখন চড়া দামে বিক্রি হওয়া ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা খায় তখন অজান্তেই ওদের প্রতি সারা বছরের উপহাস বিলিয়ে দেয় যেন! কি হয় এই ঐতিহ্য টেনে?

এবারই এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছে এক ছেলে। সে ছুরিকাঘাতে গতকাল নিহত হয়েছে। মৃতের মা চিতকার করছেন আর তার বড় ভাইকে বলছেন, কত আবদার করে কয়দিন আগেই তোর কাছে কাচ্চি খাইতে চাইলো! পহেলা বৈশাখের দিন সে কাচ্চি না খেয়ে কই চলে গেলো..........! শুনেছি নামাজ পড়তো প্রতি ওয়াক্তের! আল্লাহ রব্বুল আলামীন তার জন্য জান্নাত নির্ধারিত করে দিন! কিন্তু আমি বলতে চাইছি অন্য কথা যে মানুষটা খুব দ্রুতই বিশাল এক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তার জন্য দোয়া না করে এমন কথা বলে ফেললেন মা হয়ে, যেটা ভিত্তিহীন এক অসাড়তা। ভালোর চেয়ে খারাপ বয়ে আনতে পারে ওর জন্য। আল্লাহ এই মূর্খতা ক্ষমা করুন! দুনিয়ার পরীক্ষার জন্য মায়েরা রোজা রাখেন, অথচ ভয়াবহ এই পরীক্ষার কথা কোন ভাবেই কারও মনে পড়ে না। বলেছিলাম এখন ওর সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন. আপনার দোয়া, শব্দ করে না কেদে দোয়া করুন। জানি নিজেকে সামলানো কঠিন ... তবুও!

আসুন পরিহার করি এই জঘন্য উতসব। ভয়াবহ জাহান্নাম থেকে বাচার চেষ্টা করি। বাচানোর চেষ্টা করি অন্যকেও! যারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেড়ানোর প্লান করেছিলেন, নিজের পবিত্রতা ধরে রাখতে ক্যান্সেল করে দিন এই পরিকল্পনা! আল্লাহু হাফিজুন!


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)