আগে খুব শুনতাম এসিড সন্ত্রাসের কথা। ছোটবেলায় টিভিতে দেখা একটা বিজ্ঞাপন এর কথা মনে পড়ে-
"-চল, জলিলের বাড়ি ঘেরাও দিমু।
-কি করসে জলিল?
-মিনুরে এসিড মারসে।
-আইনে আছে, এসিড মারনের বিচার ৯০ দিনের শ্যাষ করতে হয়।
-লোভে পড়ে যারতার হাতে এসিড তুলে দেবেন না।"
........
এই এসিড সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তখন বেশ প্রচারণা চলে। যত্রতত্র এসিড বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা, কঠোর শাস্তির প্রয়োগ ইত্যাদি আরো নানা কারণে এখন এসিড সন্ত্রাস অনেকটাই বিলুপ্ত।
কিন্তু এখন আছে নতুন সন্ত্রাস।
গত বছরের কথা বাদই দেই, আজ নতুন বছরের (২০২০) এর ১৬ তম দিন, এই ১৬ দিনে পত্রিকায় এসেছে প্রায় ২২টা ধ...ের খবর- তারমানে গড়ে প্রতিদিন একটারও বেশি।
ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা থেকে অজপাড়াগাঁ,
পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থী, ৩৫ বছরের গৃহবধূ, ৪০ বছরের বিধবা নারী।
ভিকটিম এর রেঞ্জ টা বিশাল।
প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি, ফলাফল ধ...।
কারো সাথে বিবাদ আছে?পাওনা টাকা ফেরত দিচ্ছেনা? তার মেয়ে/বউকে ধ... করে শিক্ষা দিয়ে দেয়।
বাসে একটা মেয়ে একা কোথাও যাচ্ছে?- সেও আজ ড্রাইভার আর তার সহযোগিদের লোলুপতার শিকার।
তালিকা এভাবেই লম্বা হতে থাকে, আমাদের ক্ষোভও বাড়তে থাকে।
এর ভবিষ্যৎ কি, কারো জানা নেই।
আগে এসিডসন্ত্রাস এর একটা সমস্যা ছিলো- এসিড পয়সা দিয়ে কিনতে হতো, এসিড যোগাড় করা কঠিন ছিলো।
ধ...ের ক্ষেত্রে এতকিছু লাগেনা, ধ...যন্ত্র সব পুরুষের সাথেই থাকে।দরকার শুধু একটা বিকৃত, পাশবিক মন। এই বিকৃত, পাশবিক মন মনে হয় এখন আর দুর্লভ কিছু না।
আইন করে আর সচেতনতা দিয়ে এসিড-সন্ত্রাস রুখে দেয়া গেছে, ধ...ের আগ্রাসন রোখার উপায় কি??
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)