বিবিধ

কাপড় সমাচার

কাপড় সমাচার

খুব ইন্টারেস্টিং একটা কথা, কোথায় যেন পড়েছিলাম

"জমিন হলো পুরা,

সোনা কিনে আধা,

কাপড় কিনে গাধা"

যার মর্মার্থ হলো, টাকা জমিয়ে বা সঞ্চিত অর্থ দিয়ে যে মাটি অর্থাৎ জমি কেনে সে হলো খাঁটি বুদ্ধিমান। যে সোনা কেনে সেও আধা বা কিছুটা বুদ্ধিমান। আর যে কাপড় কেনে সে হলো গাধা।

দুঃখজনকভাবে এখন আমরা অনেকেই এই গাধার দলে পড়ে গেছি। কি আর করা, এখন রংবেরং এর ফ্যাশনের যুগ। কাপড়ের প্রাচুর্য আর বৈচিত্র চারিদিকে। কাপড় কিনতে দোকানে যদি নাও যাই, দোকান তো এখন আর দোকানে নেই, দোকান এখন অনলাইনে। হোমপেইজ স্ক্রল করলেই জামাকাপড়ের পেইজের বিজ্ঞাপন, মাঝে মাঝে পেইজ ওউনার আপুদের লাইভ।

অন্যদিকে এখন উপলক্ষ-উৎসবের ও তো শেষ নেই। এক কাপড় দুই প্রোগ্রামে পরা যাবে না, একটা peer pressure কাজ করে। ফেসবুকে ছবি আপলোড করা হবে, সবাই দেখবে। সব প্রোগ্রামে একই জামা পরলে স্ট্যান্ডার্ড টা ঠিক মেন্টেইন হয় না।

এতকিছুর ভীড়ে কাঁহাতক আর নিজেকে সংযত রাখা যায়? এই স্রোতে গা ভাসানো থেকে নিজেকে বিরত রাখা তো নিজের সাথে যুদ্ধ করার শামিল।

কথায় বলে মেয়েদের জীবনে দুইটা সমস্যা- ১. কাপড় রাখার জায়গা নাই, ২. কোথাও যেতে হলে পরার উপযুক্ত কাপড় নাই। আমিও এর বাইরে নেই। আমি পোশাক আশাকের ব্যাপারে বরাবরই একটু উদাসীন। তারপরও মাঝেমাঝেই স্রোতে গা ভাসিয়ে, ঝোঁকের মাথায় কাপড় কিনে ফেলি। এরপর পড়ি বিপদে। কাপড় তো আর কিনলেই হয় না, কাপড় গুছিয়ে রাখতে হয়, ধুতে হয়, শুকাতে হয়, ইস্ত্রি করতে দিতে হয় আবার ইস্ত্রি শেষে বুঝে নিতে হয়, শেষমেশ পুরনো হলে তারও ব্যবস্থা করতে হয়। সাপ্তাহিক কর্মঘন্টার এক বড় অংশ চলে যায় এই কাপড় ম্যানেজমেন্টের পিছনে।

কাপড় নিয়ে এতসব কর্মযজ্ঞের পর মনে হয়, কথাটা আসলেই সত্য- টাকা জমিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় কিনে যে, সে গাধা, আসলেই গাধা।


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ