বিবিধ
বর্তমান

আমাদের যুগে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা
তোমরা এ যুগে সেই বয়সেই লেখাপড়া করো মেলা।
আমরা যখন আকাশের তলে ওড়ায়েছি শুধু ঘুড়ি
তোমরা এখন কলের জাহাজ চালাও গগণ জুড়ি।
উত্তর মেরু দক্ষিণ মেরু সব তোমাদের জানা
আমরা শুনেছি সেখানে রয়েছে জ্বীন পরি দেও দানা।
আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কবি সুফিয়া কামালের আজিকার শিশু কবিতাটির (উত্তর মেরু............দেও দানা) এই দুটি লাইন বারবারই বলছিলাম। আগের বা পরের আর কোন লাইন মনেই হয়নি। অন্যদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারাও নির্বিকার! বিরক্ত হয়ে গুগলে সার্চ করলাম, ব্যাস পেয়ে গেলাম। এ্ত্তো......... কিছু আমাদের নাগালে, শুধুমাত্র একটা অক্ষর দিয়ে সার্চ দিলেই চলে আসে নানা ধরণর জিনিস । কবিতাটির উল্লেখিত লাইনগুলো চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আবিষ্কারে, আজ দুনিয়া হাতের মুঠোই ।
"ভেবে দেখছো কী তারারাও কতো আলোকবর্ষ দুরে
তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে" এটা একটা গাণ।
আরো কী কী যেন ! যাইহোক, খুব দুরে থেকেও মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ নিমিষেই হয়ে যায়, আবার তারাদের সাথেও যোগাযোগ হয় মানুষের! গানটা মোটেও পুরোপুরি মনে পড়ছেনা। এখন অপ্রয়োজনেও আজ মানুষ কথা বলছে, একটু দুরে আছে তাতেই , অস্থির। কিন্তু তার মানে কী এই যে, এখন মানুষের ভালোবাসা, মায়া মমতা বেড়ে গেছে, আর আগের মানুষের কম ছিলো? আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলবো, না আগের মানুষগুলোর ভালোবাসা ছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপূর! তাদের অপেক্ষায় ছিলো অত্যধিক উৎকন্ঠা, আগ্রহ, আর মমতা।
আর এখনমানুষ অপেক্ষাতো করেই না বরং যা করে তা তুলে ধরছি,
১। অপচয় ২। লোক দেখানো ভণিতা ৩। সামাণ্য কিছু ভালোবাসা ৪।মিথ্যা কথা বলা। ই্ত্যাদি কৃত্রিম কিছু বৈশিষ্ট্যে এগিয়ে আছে আমাদের বর্তমান। একজন মোবাইলে কথা বলছে, বাবার সাথে, বাবা হয়তো জিজ্ঞেস করেছে তুমি কোথায়? মেয়েটা নির্বিকার উত্তর দিলো বাবা আমি মালিবাগ,
আমি টাস্কিত হইয়া তাহার দিকে তাকাইলাম! কারণ জায়গাখানা মালিবাগ নহে, ফার্মগেট! পরে কথা শেষ হলে মেয়েটাকে বললাম , আপু এটাতো ফার্মগেট! মেয়েটা ঝাড়ি মারার মতো করে বললো আমি খুব ভালো করে চিনি, আরেক দফায় টাস্কিত হইয়া হাঁটা থামাইয়া দাড়াইয়া গেলাম; জেনে শুনে ডাহা মিথ্যা!
এরপর ইন্টারনেট! এইা ব্যাবহার করে মানুষ দিনেরপর দিন ভালো হওয়া ছেড়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে, ভালো উদ্যোগ নিয়ে বসলে শেষ অব্দি ভালো কতোজন থাকতে পারে? কেউ না চাইলেও পাশ দিয়ে পর্ণ ছবি বা পর্ণ ভিডিওর আ্যাড দেখা যায়, ১০০% ঈমানদার না হইলে তাহার নফস শুধু উহাই পর্যবেক্ষণ করিতে চাইবে, অবশেষে দুর্বল রূহ নফসের কাছে পরাজিত হইবেক!
আরো আরো অনেক উদাহরণ বাদ রহিয়া গেলো, এত্তোগুলা লিখলে আমার হাত ব্যাথা করবে।
তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভু নাহি হবে আর
আকাশ আলোক বাঁধি আনি দুর করিবে অন্ধকার
শস্য শ্যামলা এই মাটি মার অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট সুস্থ সবল দেহ মন ঘরে ঘরে।
................................................
আরো আছে লিখলামনা! সুফিয়া কামাল যদি আজ বেচে থাকতেন তবে বলতেন, ওরে হতচ্ছাড়ার দলগুলা, আমাদের সময়ই ভালো ছিলো, তোরাতো এক একটা গন্ডার হইতেছিস!!!
(বিঃদ্রঃ ইয়ে আমি কিন্তুক বর্তমান সুযোগের বিরোধী নহি। :P
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)