সাহিত্য

নবনীর সুখ

নবনীর সুখ

নবনী আজ অনেক দিন পর মুখ তুলেছে
গবাক্ষের সুনীলে চোখ মেলেছে
কিন্তু সকালের তীব্র আলোর ভীড়েও ঝাপসা চোখে কিছুই দেখতে পায় না!
সবই শুধু আধো আলোয় ধূসর ঠ্যাকে। 
মাঝে মাঝে হাপাতে হাপাতে নবনী
আয়না খুঁজে ফিরে! 
ইচ্ছে হয় নিজের দর্শন নিতে কিন্তু 
হায়! কাকে দেখে সে? 
এত্তো অচেনা ঠ্যাকে নিজেকে কখনো
জানা ছিলো না বটে। 


একূল অকূল আকূল চোখে খুঁজে বেড়ায় 
যদি কাউকে দেখা যায়,যারে চেনা যায়
কিন্তু কেবল দূউউরে আকাশে কিছু তারা
ক্ষীন ছায়া দেখিয়ে যায়। 
নবনী কাঁদতে ও ভুলে যায় নাকি অশ্রু শুকিয়ে যায়! 
কেবল শূণ্য দৃষ্টিতে ইথারে ইথারে নিজের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়ায়।


ডানা ভাঙা পাখির মতোই যখন লড়তে লড়তে নিস্তেজ হয়ে যায়, তখন কেউ না কেউ দয়াপরবশ সুধায়, কেমন আছো নবনী? 
সাত সমুদ্দের সমান দীর্ঘশ্বাস আটকে সে
ঠোঁটে ক্ষীন হাসি ফুটায়। 
আহহ,কেউ তো সুধালো একটিবার! ধন্য হই বটে
তবে প্রশ্নটা ঠিক কাছাকাছি যেয়েও ভুল হয়ে গেলো যে। 
এখন আর কেমন আছি সে প্রশ্নটা বেমানান
বেচে আছি নাকি মরে গিয়ে বেচেছি তা জানতে চাওয়াই কল্যাণ।
নবনী এখন সকাল-বিকেল রোজ মরে যায় ক'বার,
মৃত হৃদয়ের দাফন হয় না,তাইতো লোকে বুঝে না একটি বার। 

নবনী এখন বুঝতে শিখেছে,তার দিন হারিয়েছে স্রোতে
কোন সমুদ্দরে জমেছে গিয়ে খুঁজে পাওয়ার আশা মিছে
লোকের বুঝায় আর কি আসে যায়,শুধু নিজের জন্যে সুধায়,
বারবার এভাবে না মরে,একবারে কবে মরা যায়?
দেহ থেকে কবে আত্না ছুটি নেবে,স্বস্তি পাবে লোকে খুব
পৃথিবী বুকে ইতি টানবে আরেকটা ডানা ভাঙ্গা পাখির দুঃখ।

 


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন