উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

করুণা

করুণা
পর্ব-৫ রাত দশটা বাজতে চললো। সাহানা খন্দকার মেয়ে দুটোকে নিয়ে ছাদে উঠেছে। ওদের বাবা জোবায়ের খন্দকার বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা, সাড়ে এগারোটা বেজে যায়। আজ আকাশটা বেশ পরিচ্ছন্ন আর জোৎস্না প্লাবিত। মৌমিতা মাঈশা ফিসফিস করেই চলেছে, সাহানা খন্দকার, নির্বিকার কন্ঠে, -তোমরা আজ ভোরবেলা কোথায় গিয়েছিলে? ওরা দুজনই চমকে ওঠে, বিস্মিত হয়ে একে অপরের দিকে তাকায়, মায়ের কাছ ঘেঁসে এসে দাঁড়ায়, মৌমিতা কাঁচুমাচু কন্ঠে, -কেন মা! একথা কেন বলছো?! -জানোনা কেন বলছি? -চুপ হয়ে যায় ওরা, অনেক্ষণ চুপ থাকে। সাহানা খন্দকার আবারো একইরকম কন্ঠে, -এতো কৌতূহল ভালোনা, ....... মাঈশা অভিযোগের কন্ঠে, -মা তুমি যাও, ঠিক আছে, কিন্তু বাবা সেদিন আমাদেরকে মিতালীর সাথে দেখে কতো রাগ করলো, ওর মন খারাপ হলোনা? সাহানা খন্দকার মাঈশার মুখের দিকে তাকায়, বিস্মিত কন্ঠে, -মিতালী কে? মৌমিতা কিছুই বলেনা, মাঈশা নির্ভয়ে উত্তর দিয়ে চলেছে, -ওমা জানোনা তুমি যাকে খাইয়ে দিলে, ওই তা মিতালী আমরা নাম দিয়েছি, কথাটা শেষ করে রাজ্য বিজয়ের হাসি হাসে। মৌমিতা রাগান্মিত কন্ঠে, -মাঈশা মিথ্যা কথা বলবিনা, নামটা তো আমি দিলাম। মাঈশা দুষ্ট হেসে, -আমি সমর্থন না দিলে হতো! সাহানা খন্দকার, বিরক্তভরা কন্ঠে, -থামো তোমরা, তোমার বাবা ওকে দেখেছে? মৌমিতা সম্মতিসূচক মাথা নাড়িয়ে মলিন কন্ঠে, -মা ও তোমার কে হয়? সাহানা খন্দকারের দৃষ্টিতে অশ্রু জমা হয়, ধরা গলায় বলে, -বড় বোন! মাঈশা মৌমিতা বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে মায়ের মুখের দিকে তাকায়, একসাথে বলে ওঠে, -আমাদের বড় খালামুনি! সাহানা খন্দকার কঠোর কন্ঠে, -না! এদিকে চাঁদের লুকোচুরি খেলা শুরু হয়ে গেছে, মৌমিতা মাঈশা মায়ের কঠোর কন্ঠ শুনে ভয়ে চুপসে যায়। আর কথা বলেনা। চাঁদ যেন ওদের ভয় ভাঙ্গাতে প্রাণান্তকর ভাবে লুকোচুরি খেলছে মেঘের সাথে! চলবে........  

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ