বিবিধ

অস্তিত্বের গল্প

অস্তিত্বের গল্প

অস্তিত্বের গল্প বলি!
বালিকাবেলায় গভীর রাত অবধি অপেক্ষা করতাম,একজন ফিরবেন বলে, আর আমি তার বাম বাহুতে চুমু দিয়ে একসাথে ভাত খাব সে আশায়। সেদিন খুব বৃষ্টি, ঘরের জানালা খুলে আম্মুর সাথে বসে আছি কাঁচা মিষ্টি আলু চিবিয়ে সময় পার করছিলাম, ছোটগুলো ঘুমিয়ে অসাড়। সেই যে অপেক্ষা উদ্বিগ্নতা মাথায় নিয়ে অপেক্ষা কেন জানেন? তাঁর অস্তিত্বে বহু আগেই চিল শকুণের দৃষ্টি পড়েছিলো। অস্তিত্ব নিয়ে দর কষাকষির চুক্তি চলছিলো, সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে বহু আগেই আর অপেক্ষা করতে হয়না, তাকে ছিন্নভিন্ন করে নিজেদের খায়েশ মিটয়েছিলো লোভীরা।

তারপর থেকে অস্তিত্বের গল্পের মোড় ঘুরে যায়, মা বোন, আত্মীয় স্বজন ঘরের কয়েকটি জানালা, পড়ার টেবিল, পড়ার নামে গল্প কবিতা লেখা। আর আলমিরার তাকে বিশাল বিশাল ইংরেজী লেখা বইয়ের পাতায় নাক ঢুকিয়ে পরিচিত এক গন্ধ খোঁজা। অস্তিত্বের পাল্টে যাওয়া গল্পে অংকে ৯৯ পাওয়া বালিকাটি তখন কোনমতে পাশ করে যায়। সমাজব্যাবস্থা নিয়ে তখনও চিন্তা করিনা, চাচাতো এক বোন প্রেম করে বিয়ে করেন, তার বরের আগে আরও তিন চারটা বউ ছিলো। আমি অবাক হয়ে ভেবেছিলাম নিজের অস্তিত্ব কেউ এভাবে ছোট করে জেনেশুনে এই বিয়ে করতে না দেখলে মাথায় ঢুকতোনা (ফতোয়া দিতে আসবেননা দয়া করে)।

সেই থেকেই অস্তিত্ব নিয়ে ভাবি, ছোটখাটো মাথায় বড় বড় প্যাঁচ কখনোই ঢুকতোনা, তখন থেকেই রক্তের হোলিখেলা দেখে এসেছি কত খু..., গুম, ধ...ের খবর শুনেছি ইয়ত্বা নেই। স্বাধীনতা শব্দটি নিয়ে প্রশ্ন তখনও মাথায় ঢোকেনি, কিন্তু সাড়ে নয়মাস যে রক্তক্ষয়ী, ইজ্জতক্ষয়ী যুদ্ধ হলো তা কি সেখানেই শেষ হওয়া প্রয়োজন ছিলোনা? হয়নি! এখন বেছে বেছে যু্দ্ধাপরাধী খেতাব দেয়া হয়। দড়িতে ঝুলতে থাকে সার্বভৌমত্ব! আমরা হা করে তাকিয়ে আছি, এর পরে কি হয় দেখতে, সিরিয়ালের মতো!

ভেতরেই চলে অস্তিত্ব নিয়ে টানা হ্যাচড়া, অস্তিত্ব নিয়ে চুক্তি চলে, যেন ওর বাপ স্বাধীনতার সময় এই ওয়াদা দিয়েছিল এসবের। সবুজ অরণ্যের পাশ ঘেঁষে চুক্তি হয়ে গেলো, ধীরে ধীরে চুক্তি বাড়বে আপনার অস্তিত্ব দখল করে আপনার কলিজা টেনে হিচড়ে জবর দখল করতে চাইবে সেদিনও হা করে গদীতে বসা মানসকন্যার পশুর মতো দাঁত বের করা হাসি দেখে আঙ্গুল চুষতে থাকবেন, চিৎকার করবেননা যেন!


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ