বিবিধ

কে তুই বল্

কে তুই বল্
images জানিস, সেদিন যখন শুনলাম তুই আসবি, আমি বুঝাতে পারবনা কত যে খুশি হয়েছিলাম! তবুও সে খুশি চাপা দিয়ে রেখেছিলাম, নিজে থেকে তোর আসার কথা  কাউকে বলিনি, যদি তুই না আসিস! কারণ অনেকেই আমাকে বলেছিলো তুই নাকী আমার জীবনে আসবিনা। আমি অপেক্ষা করেছি তোর জন্য দিন মাস বছর অব্দি, তুই আসবি আমার হয়ে। আমি তোকে আগলে রাখবো আমার সমস্ত  নিরাপত্তা দিয়ে! তোকে আগলে রাখবো আমার সর্বোচ্চ যত্ন দিয়ে। তোকে আমি সাজাবো মনের মতো করে? ভাবতাম তোর কি পছন্দ হবে আমার এসব কিছু। আমি যে বড্ড খাম খেয়ালী, ভূলোমনা। ভাবতাম তুই কার মতো হবি আমার মতো? আবার সাথে সাথে মন থেকে সে চিন্তা বাদ দিয়ে বলতাম নাহ! তুই হবি শুধুই তোর মতো! তুই  এলি, আমার সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তুই এলি….. তখন আমার অবস্থা খুবই খারাপ শরীরে  অসহনীয় এক ঝাকুনি অনুভব করছিলাম, আমার নিয়ন্ত্রণ ছিলোনা নিজের শারীরিক অবস্থার উপর। ডক্টর দ্রুত কন্ঠে একবার বললেন বিপি এতো কম কেন, এই ছেলে ওখানে দাঁড়িয়ে কি করছো ইনজেকশনটা দাও। আমি একটু জোর গলায় বলতে চাইলাম আমি দেখবো ওকে, কিন্তু কথা বেরুলো কিনা বুঝলামনা আবারো বললাম, ডক্টর বললেন হ্যা দেখবেই তো! তোমার মেয়েকে তুমিই আগে দেখবে একটু অপেক্ষা করো……. আমি বললাম সত্যিই মেয়ে! ডক্টর সবাই বলতো আমার নাকী মেয়েই হবেনা! ডক্টর বললেন, কে বলেছে এইতো তোমার মেয়ে হয়েছে, খুব সুন্দর! এরপর আমি তোকে দেখলাম আমার চোখজুড়ে শুধু তুই, তোর ছায়া, তুই এতো সুন্দর মনে হলো পৃথিবীর তাবৎ শিশুদের চেয়ে তুই সুন্দর! তুই মায়াবী! ঐটুকু একটা শরীরে এতোগুলো মায়া আর ভালোবাসা কেমনে জমিয়ে রাখিস তুই! আমি মাতৃত্বের পরিপূর্ণতা অনুভব করি হৃদয় জুড়ে। আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে তোর দিকে তাকিয়ে যখন মনে পড়ে জাহেলী যুগের কথা। সেসময় তোর কোন মূল্য ছিলোনা জানিসতো বাবারা তোদেরকে সাজিয়ে নিয়ে গিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রেখে আসতো। তোর আর্ত চিৎকার শুনেও তাদের মনে একটুও প্রভাব পড়তোনা। সেসব মনে পড়লে শক্ত করে তোকে বুকে জড়িয়ে ধরি, না তোকে কোন আঁচ লাগতে দেবনা। আমি তোর উপযোগী সমাজ তৈরী করবো। মেয়ে বলে কেউ যেন তোকে অবজ্ঞা করতে না পারে! চলবে……..

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ