দায় বদ্ধতা এমনই একটি শব্দ যার কাঠিণ্যতা উপলব্দি করলে মানুষ বিশ্রাম নিতে পারতোনা। মানুষ দায়বদ্ধ তার পরিবার, প্রিয়জন, সমাজ, রাষ্ট্র, সবকিছুর কাছে। যখন লক্ষ্য করছেন আপনার প্রিয়জন অন্যায় কিছু করছে তখন নির্দিধায় আপনি দায়বদ্ধ হয়ে যান ঐ অন্যায় দুর করার জন্য। একজন মানুষ নিজ নিজ জায়গা তেকে দায়িত্বশীল। আপনার পরিবারে আপনার সন্তান যখন সাত বছর পেরিয়ে গেলো তখন আপনি খুব সচেতন হয়ে যদি তাকে নামাজের ব্যাপারে তাকিদ দিতেন তবে সে অন্তত দশ বছরে গিয়ে নামাজ ছাড়ার কথা ভাবতে পারতোনা। ফজরে তাকে ঘুম থেকে উঠাতে আপনার কলিজায় আঘাত লাগে কিন্তু মর্ণিং শিফটের স্কুল কখনো মিস করতে দেননি। এই দায়বদ্ধতা কাটাবেন কি করে?
আপনার পরিবারে সঠিকভাবে ইসলাম মেনে চলা হয়না, কিন্তু সে ব্যাপারে মাথা ঘামাননি কখনোই কিন্তু যখনই সাংসারিক প্রয়োজনের জিনিসগুলো সঠিকভাবে পাচ্ছেননা তখন আপনার কন্ঠ রুদ্ধ করে কে? আপনার মা বোন স্ত্রী যথাযথ পর্দা করেনা সে ব্যাপার আপনাকে ভাবায়না, কিন্তু খাবারে তরকারীতে সামাণ্য লবণ বেশী হয়ে গেলে, একই তরকারী দ্বিতীয়বার প্লেটে পরলে চিৎকার চেচামেচিতে ঘর মাথায় তোলেন, তবে ভেবে দেখু... আপনি কতোটা দায়িত্বহীন অবস্থায় চলছেন!
সামাজিক নানা ধরণের কর্মসূচীতে আপনি অংশগ্রহণ করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে অংশ নিতে হয় বন্ধুর বিবাহ বার্ষিকীতে, জন্মদিনে কিন্তু একদিনও মুখ ফুটে বলতে পারেননি এসব করা ঠিকনা, ভেবেছেন বললে হয়তোবা আপনাকে ব্যাকডেটেড, আনসোসাল মনে করবে।
এরকম হাজারটা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি, আত্মসমালোচনা যদি বেশী বেশী না করা হয় তবে এভাবেই জীবনের শেষ পর্যায় চলে আসবে িন্তু তখন আফসোস ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবেনা।
ভাবছি জীবনটাকে কি পরিমান অলসভাবে কাটিয়ে দিলাম, নেই সচেতন দৃষ্টিভংগী, শুধুই অন্যের দোষ ধরাতে ব্যাস্ত থেকেছি, অত্যধিক অভিমানী হয়ে নিজের প্রতি অন্যের কেয়ারিংয়ে খুঁত ধরে গেছি, অন্যের দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা করেছি। রাস্তায় হয়তো কারো কুৎসিত চেহারা দেখে খারাপ মন্তব্য করে হেসেছি। কারো পথচলা, হাঁটা, হাসা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছি। এখন এক কথা বলে পরে ইচ্ছে করেই সে কথাটাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অন্যের জন্য জটিল করে তুলেছি। তবে?!
এইসব দায়িত্বহীন মুর্খামীর জবাবদিহীতা কিভাবে দেব আজ সেটাই ভাবছি!
ইয়া রব! ক্ষমা করো সবাইকে!
(বিঃদ্র : উইমেন এক্সপ্রেস ব্লগ! আমার খুব প্রিয় একটা ব্লগ। ১০০ তম লেখা, যদিও খুব বেশী কিছু না তবুও এই ব্লগে লিখছি, লিখেছি সে জন্য একটা ভালো লাগা কাজ করছে! উইমেন এক্সপ্রেস স্বতস্ফুর্তভাবে এগিয়ে যাও, আমাদেরকেও কাছে রেখ, পাশে রেখ! শুভকামনা উই ব্লগ!)
বিবিধ
দায়বদ্ধতা (১০০ তম লেখা)
ব্লগটি লিখেছেন: nasrin-mahmud-sima
| ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
দায় বদ্ধতা এমনই একটি শব্দ যার কাঠিণ্যতা উপলব্দি করলে মানুষ বিশ্রাম নিতে পারতোনা। মানুষ দায়বদ্ধ তার পরিবার, প্রিয়জন, সমাজ, রাষ্ট্র, সবকিছুর কাছে। যখন লক্ষ্য করছেন আপনার প্রিয়জন অন্যায় কিছু করছে তখন নির্দিধায় আপনি দায়বদ্ধ হয়ে যান ঐ অন্যায় দুর করার জন্য। একজন মানুষ নিজ নিজ জায়গা তেকে দায়িত্বশীল। আপনার পরিবারে আপনার সন্তান যখন সাত বছর পেরিয়ে গেলো তখন আপনি খুব সচেতন হয়ে যদি তাকে নামাজের ব্যাপারে তাকিদ দিতেন তবে সে অন্তত দশ বছরে গিয়ে নামাজ ছাড়ার কথা ভাবতে পারতোনা। ফজরে তাকে ঘুম থেকে উঠাতে আপনার কলিজায় আঘাত লাগে কিন্তু মর্ণিং শিফটের স্কুল কখনো মিস করতে দেননি। এই দায়বদ্ধতা কাটাবেন কি করে?
আপনার পরিবারে সঠিকভাবে ইসলাম মেনে চলা হয়না, কিন্তু সে ব্যাপারে মাথা ঘামাননি কখনোই কিন্তু যখনই সাংসারিক প্রয়োজনের জিনিসগুলো সঠিকভাবে পাচ্ছেননা তখন আপনার কন্ঠ রুদ্ধ করে কে? আপনার মা বোন স্ত্রী যথাযথ পর্দা করেনা সে ব্যাপার আপনাকে ভাবায়না, কিন্তু খাবারে তরকারীতে সামাণ্য লবণ বেশী হয়ে গেলে, একই তরকারী দ্বিতীয়বার প্লেটে পরলে চিৎকার চেচামেচিতে ঘর মাথায় তোলেন, তবে ভেবে দেখু... আপনি কতোটা দায়িত্বহীন অবস্থায় চলছেন!
সামাজিক নানা ধরণের কর্মসূচীতে আপনি অংশগ্রহণ করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে অংশ নিতে হয় বন্ধুর বিবাহ বার্ষিকীতে, জন্মদিনে কিন্তু একদিনও মুখ ফুটে বলতে পারেননি এসব করা ঠিকনা, ভেবেছেন বললে হয়তোবা আপনাকে ব্যাকডেটেড, আনসোসাল মনে করবে।
এরকম হাজারটা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি, আত্মসমালোচনা যদি বেশী বেশী না করা হয় তবে এভাবেই জীবনের শেষ পর্যায় চলে আসবে িন্তু তখন আফসোস ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবেনা।
ভাবছি জীবনটাকে কি পরিমান অলসভাবে কাটিয়ে দিলাম, নেই সচেতন দৃষ্টিভংগী, শুধুই অন্যের দোষ ধরাতে ব্যাস্ত থেকেছি, অত্যধিক অভিমানী হয়ে নিজের প্রতি অন্যের কেয়ারিংয়ে খুঁত ধরে গেছি, অন্যের দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা করেছি। রাস্তায় হয়তো কারো কুৎসিত চেহারা দেখে খারাপ মন্তব্য করে হেসেছি। কারো পথচলা, হাঁটা, হাসা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছি। এখন এক কথা বলে পরে ইচ্ছে করেই সে কথাটাকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে অন্যের জন্য জটিল করে তুলেছি। তবে?!
এইসব দায়িত্বহীন মুর্খামীর জবাবদিহীতা কিভাবে দেব আজ সেটাই ভাবছি!
ইয়া রব! ক্ষমা করো সবাইকে!
(বিঃদ্র : উইমেন এক্সপ্রেস ব্লগ! আমার খুব প্রিয় একটা ব্লগ। ১০০ তম লেখা, যদিও খুব বেশী কিছু না তবুও এই ব্লগে লিখছি, লিখেছি সে জন্য একটা ভালো লাগা কাজ করছে! উইমেন এক্সপ্রেস স্বতস্ফুর্তভাবে এগিয়ে যাও, আমাদেরকেও কাছে রেখ, পাশে রেখ! শুভকামনা উই ব্লগ!)
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1809 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1708 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1551 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1546 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1501
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
টুকরো কথন-৪
Women Express
১৭ মে ২০২৩
টুকরো কথন-৩
Women Express
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
টুকরো কথন-২
শুকনোপাতার রাজ্য
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
অতল নামের তীব্র ছটা
লাল নীল বেগুনী
৬ জুলাই ২০২১
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
Pen friend
নাসরিন সিমা
১৮ জুন ২০২০
আবদ্ধ রুটিন
নাসরিন সিমা
২৮ মে ২০২০
ফাতিমা আল ফিহরি
নাসরিন সিমা
১৮ মে ২০২০
বৈশাখী সম্ভ্রম
নাসরিন সিমা
১৪ এপ্রিল ২০২০
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)