বিবিধ

ঈদ যেমন কাটলো

ঈদ যেমন কাটলো
ঈদ আসে প্রতি বছরই। কখনো কখনো খুব বেশী আনন্দ নিয়ে, চারপাশের আয়োজন হৈ হল্লা সবসময় মনে করিয়ে দেয়  এসেছে আনন্দের বারতা। গত দু তিন বছর ঈদের আনন্দ টেরই পাইনি, কেমন নিষ্প্রাণ অনুভূতি ছিলো। এবার অনিবার্য বাস্তবতার কারণে ঢাকায় ঈদ করলাম, ভাবলাম একটু অন্যরকম কাটুক! ঈদের চাঁদ দেখা গেছে শিরোণাম দেখলাম, পটকার শব্দ কানে তালা ধরানো শুরু করলো। আমার ছোট্ট রাহী (ছেলে) এবার চারটা রোযা রেখেছে। ও হঠাৎ প্রশ্ন করলো, -মামনি হোটেল গুলোতে পর্দা কেন দেয়া ছিলো? -ওখানে মানুষরা খাবার খায়, রোযার সময় রোজাদাররা যেন না দেখে। ঈদ ওদের জন্য না, ওরা পচা! রাহী মুচকী হাসলো -আমি বললাম ঈদ কেন আসে জানো তুমি? -না -ঈদ আসে যারা এই রমজান মাসে রোযা রেখেছে ভালোভাবে চলেছে, মিথ্যা কথা বলেনি, খারাপ কাজ করেনি তাদের জন্য! -কিন্তু মামনি আমিতো সব রোজা করিনি তাহলে? -তুমি ছোট তোমার জন্য রোযা ফরজ হয়নি, এইযে চারটা রোজা করেছো এর জন্য ঈদের আনন্দ তোমারও! আমি ওর চোখে মুখে তৃপ্তির আনন্দ দেখতে পেলাম, সাড়ে ছয় বছরের এই শিশুটি রোযা রাখতে পেরেছে বলে আনন্দিত! আল্লাহর রহমতে একা একা সে নামাজও পড়তে পারে। বিকেলে বাসার নিচের খোলা গ্যারেজে খেলতে যাবে, কিন্তু সময়টা আছরের নামাজের দশ পনেরো মিনিট আগে অজু করে রেডি হয়ে থাকে নামাজ পড়ে খেলতে যায়। কিন্তু ঈদের দিন আমরা মা ছেলে দুজনই খুবই অসুস্থ ছিলাম, সকালে আমি শুধু রান্নাটা করতে পেরেছি, রাহীর বাবা দু চারজন ভাইকে নিয়ে এসে নিজে খাবার রেডি করে মেহমানদেরকে খাইয়েছে, রাহীর জ্বর ছিলো,  আর আমি কিছুই খেতে পারছিলামনা মাথায় প্রেশার উঠে গেছিলো, প্রচন্ড দূর্বল ছিলাম। সর্দি, কাশি সব মিলে খুবই বিদঘুটে অবস্থা! তবে এই ভেবে স্বস্তি পেয়েছিলাম হয়তো আল্লাহ গুণাহ গুলো এই অসিলায় মাফ করে দিচ্ছেন! তবে রোজার সময় একদম সুস্থ ছিলাম, সবই করেছি (ইয়ে রাহীর জুনিয়র ভাই/ বোনের ব্যাপারতো!)। আর নীল জোসনা জানতে চাইলেন ঈদ কেমন কাটলো তাই লিখলাম! সব মিলিয়ে তারপরও আলহামদুলিল্লাহ!

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ