পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )

সবুজ বাংলার বুকের সহজ সরল বধুয়ারা আজ এত ক্ষিপ্ত হল কেন? (প্রথম পর্ব)

সবুজ বাংলার বুকের সহজ সরল বধুয়ারা আজ এত ক্ষিপ্ত হল কেন? (প্রথম পর্ব)
10155093_296014260554985_2236515732338626488_n শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু . স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো জান্নাতী মধুর সম্পর্ক । এর মাঝে তো ঘৃনা , অবহেলা , লোভ লালসা, চাওয়া পাওয়ার অংকের হিসাব নিকাশ থাকতে পারে না। আর একটা মেয়ে তো বিয়ের মেহেদী দিয়ে হাত সাজায় , আর গহনা আর লাল বেনারোশাড়ী দিয়ে নিজেকে সাজায় , তার সাথে সাথে জীবন নামের মহা সাগর পারাপার হবার খেয়া নৌকা টা সাজায় হৃদয়ের বাগানের ভালবাসার লাল গোলাপ গুলো দিয়ে । আর বাসর ঘরে গোমটা পরা নব বধু অপেক্ষায় থাকে কখন তার মন মাঝি এসে সেই জীবন তরীর দায়িত্ব বুঝে নিবে । ভালবাসার সেতু বন্ধন হিসেবে আসে কোল ঝুড়ে চাদের মত ফুটফুটে সন্তান । কত স্বপ্ন আর আশা ভরসা গিরে রাখে সেই মা বাবা কে । কিন্তু একটা মেয়ে একজন পুরুষের সাহায্য সহযোগীতা ছাড়া তার স্বামীর সংসারের অনেক কিছুতে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে পারে না । কারন এর উপর কোন মেয়ের পূর্ব অভিজ্ঞতা বা ডক্টরেট ডিগ্রী করা থাকে না । কেউই পানিতে নামা ছাড়া সাতার কাটা শিখতে পারে না । নামার পর কোন সুমিং শিক্ষক একটু দেখায়ে দিলে দুষিত পানি আর বেশি খেতে হয় না । অনেক সময় আমরা মেয়েরা স্বামীদের ভালবাসা পাবার জন্য নিজেদেরকে উজ়াড় করে দিতে বা হাজার বার মরতেও রাজি । কিন্তু ভালবাসা মানে হল সেক্রিফাইজ আর কম্প্রোমাইজ ।সেই ভালবাসার জন্য অনেক কিছু নয় একটু খানী সেক্রিফাইজ করে একটু শান্তির জন্য ধৈর্য ধরতে রাজি হই না । এমন কি নিজের কামনা বাসনা আর শখের জন্য স্বামীর আর ব্যয় বা তার সুবিধা অসুবিধার কতা মাথায় আনতে নারাজ হয়ে যাই । তিনি কিভাবে তা আনছেন বা হালাল হারাম এর কোন খেয়াল করি না । নিজের ও নিজের আত্নীয় স্বজনদের দিকে বেশি খেয়াল করে বেচারা পুরুষ এর উপর অমানুবিক জুলুম করে ফেলি।স্বামীর পক্ষের আত্নীয় দের কে পাত্তাই দেইনা বা দিলেও দায় সারা ভাবে । যা সত্যি বেমানান।আর এই দুই চোখা নীতি থেকে মনোমালিন্যের সুত্রপাত শুরু হয়। তালি দিতে যেমন দুই হাত লাগে তেমনি কম্প্রোমাইজ করতে দুই জনেরই কিছু ছাড়তে হয়।একটা বহুতল ভবন নির্মানের সময় কিছু ইট এর ত্যাগ বা ভাঙ্গতে হয় বলেই বাসভবন টার এত সুন্দর কর্ণার গুলো বানানো যায়। আমাদেরকেও একটা জান্নাতী পরিবেশের জন্য আমার মনে হয় মেয়েদের ত্যাগ করার মন টা বেশি উদার থাকা উচিত । সন্দেহপ্রবন মন কারো থাকা উচিত নয় । বলা বাহুল্য আমার ভালবাসার উপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো বলে আমি ভাবতাম যে, আমার স্বামী যখন বিদেশে ছিল তখন সে আমারই আছে ইনশাআল্লাহ আমারই থাকবে। আজ সে একজন আইনপেশার লোক যেখানে প্রায় অর্ধেক বেপর্দার মেয়ে । আমার তাতে কি আসে যায় । আমার ভালবাসার উপর আমার দৃঢ় বিশ্বাস ইনশাল্লাহ সে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সে আমার কথাই ভাবছে ।ছেলের বউ কে দেখান, “দেখ শারমিন ,তোমার মামনির এই ছবি টা ৩০ বছর থেকে আমার মানিব্যাগে থাকে।ব্যাগ পাল্টাই কিন্তু ছবি পাল্টাইনা ।কারন ব্যস্ত আর ক্লান্ত সময় এই ছবি টা আমাকে প্রেরনা দেয় । আলহামদুলিল্লাহ ।আজ বলছেন, তার চেম্বার টা এত সুন্দর করে সাজালো আর আমি ছাড়া অনেকের দেখা হয়েছে। কিন্তু আমার যে একটাই শখ, সে জান্নাতুল ফেরদাউসে ইনশাল্লাহ যে চেম্বার পাবে আমি সেখানে তার পাশের আসনে যদি একটু ঠাই পাই ।আমার খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি বা শুনি মেয়েরা তাদের স্বামীর গায়ে কেরোসিন ডেলে পুড়িয়ে মারে বা স্বামীর উপর রাগ করে সন্তান সহ আত্নহ... করেন।তখন খুব ভাবি যে, সবুজ বাংলার বুকের সহজ সরল বধুয়ারা আজ এত ক্ষিপ্ত হল কেন? রাসুল সাঃ বলেছেন,”যে মহিলা পাচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে, নিজের ইজ্জত আবরুর হেফাজত করবে এবং স্বামীর অনুগত থাকবে । বেহেশতের যে কোন দরজার দিয়ে প্রবেশ করার অধিকার তার থাকবে। (মিশকাত) আমি বলবো না এখানে মেয়েদের সব দোষ আবার আমি এটাও বল না শুধু ছেলেদের দোষ। আমাদের শ্রদ্ধেয় পুরুষ ভাইদের মাঝেও অনেকে আছেন স্ত্রীকে সন্মান বা তার মন বলতে যে একটা হাড় বিহিন মাংসপিণ্ড আছে তা মানতে চান না। মনে হয় তারা কাজের মহিলাদের থেকেও খারাপ। তবে যারা আল্লাহকে ভয় করেন তাদের কথা ভিন্ন। সুন্দরী স্ত্রীকে প্রথমে পর্দার বেপারে তাগিদ না দিয়ে বরং বন্ধুদের সামনে নিয়ে দেখাতে বেশি আনন্দ পান। তারাই পরে স্ত্রীদের সন্দেহ করা শুরু করে। আর সব কিছুতে এর জ্বাল উঠাতে দেরি করেন না। আত্নীয় স্বজনের সামনেও স্ত্রীর মরা বা জীবিত মা বাবা তুলে গালি দিতে দেরি করেন না। যা সহ্য করা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আর ছোট বড় ঝামেলা গুলো দুই জন কেই মন থেকে মুছে একে অন্যকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।আর এতেই আসলে স্বামী স্ত্রীর মনোমালিন্য মিঠে যায়। দুই জনের একজনেও যদি ভাবেন যে আমরা সামান্য এই কয় দিনের জন্য একসাথে আছি।আমার স্বামী কি ফেরাউন এর চেয়ে বেশি খারাপ? যে খারাপ স্বামী কে নিয়ে বিবি আছিয়া সংসার করেছেন। য়ামার স্ত্রী কি অনেক বেশি বেয়াড়া যে নূহ আঃ এর চেয়ে বড় বেয়াড়া স্ত্রী নিয়ে সংসার করেছেন । তা হলে আর মনে কিছুই থাকে না । ভাল আর মন্দ কখনই সমান হতে পারে না; তুমি ভাল (কাজ) দ্বারা মন্দ (কাজ) প্রতিহত করো, তাহলেই (তুমি দেখতে পাবে) তোমার এবং যার সাথে তোমার শত্রুতা ছিল, তার মাঝে এমন (অবস্থা সৃষ্টি) হয়ে যাবে, যেন সে (তোমার) অন্তরঙ্গ বন্ধু।’ (সুরা হা-মীম-আস সাজদাঃ ৩৪) আমরা ভাল কাজ দিয়ে মন্দ কাজ গুলো ধুয়ে ফেলি। তাই আসুন আমরাই আমাদের উকিল হয়ে সমস্যা গুলো একটু কিছু বিষয় চিন্তা করলেই মিটিয়ে ফেলা যায়ঃ   সবুজ বাংলার বুকের সহজ সরল বধুয়ারা আজ এত ক্ষিপ্ত হল কেন? শেষ পর্ব https://womenexpressbd.com/parvinsultana/the-family-and-i-marriage-conjugalchild-rearing/%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%9C-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%9C-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%B2/

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
আমার ডিভাইস ভাবনা

আমার ডিভাইস ভাবনা

২২ জানুয়ারী ২০২৪

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

হৃদয়ে রক্তক্ষরণ

২৮ ডিসেম্বার ২০২৩

আমার বাচ্চা খায় না!!????

আমার বাচ্চা খায় না!!????

২৪ ডিসেম্বার ২০২৩

আক্রমনাত্মক দাওয়াহ!!!

আক্রমনাত্মক দাওয়াহ!!!

১৩ ডিসেম্বার ২০২৩