খুব বেশী দিন আগেতো নয়
লোকে যদিও অনেক কয়।
জজ জুয়েলকে চেনেন নিশ্চই?
না চিনলেতো পুরো যুৎসই।
হয়েছে কী... শুনুন তবে;
বাবার মামলা তখন চলে-
ছিল তারই বিচারাধীন
সে থেকেইতো চেন-পরিচয়!
সেই সুবাদে খোঁজও নিতেন।
হঠাৎ একদিন ডেকে নিলেন,
আদালতে চাকরী দিলেন।
কী বলে যে ডাকবো তাকে?
বড় মন না হলে; তবে-
এভাবে কেউ ভাবতে পারে?
চাকরীটা অস্থায়ী ছিল
পদটা স্টেনোগ্রাফারের।
সরকারী চাকরীও দিবেন
সাঁটলিপিটা শিখলেই হবে!
এতো যেন খোদ ভগবান!
খুঁজে পাই প্রাণের সুর ও গান।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল
তালটা হঠাৎ কেটে গেল;
চাকুরীটা দিলেন বটে
আমায় না। অন্য একজনকে!
তখনও ভাগ্য বিগড়ায়নি।
পেয়ে গেলাম আরেক চাকরী।
ফোনে আমায় ধামকি দিয়ে
ডেকে নিলেন আদালতে;
নইলে হবে মামলার ক্ষতি
তাইতো গেলাম করতে গতি।
স্বেচ্ছায় নয় বাধ্য ছিলাম
আবারো স্টেনোগ্রাফার!
পনেরতে আটই জুনে
রাজি হয়ে বসের বাসায়
দেখতে গেলাম মিসেস জুয়েল।
কোথায় কীসের মিসেস জুয়েল!
আমার সকল জুয়েল খুলে
ছিড়ে বিড়ে খুবলে খেয়ে
লাল রক্তে ভাসিয়ে দিল।
সেই সাথে হুমকিও দিল-
কাউকে বললে ফেলবে মেরে!
আমি তখন দিশেহারা!
প্রতিশোধের পাগলপাড়া
বোকার মত স্বপ্ন দেখি
রমনা থানায় মামলা হবে!
প্রমাণ নিয়ে গেলাম ঠিকই
আমার ভুল? সেইতো শুরু
অতিরিক্ত জেলা জজ যে!
তার বিরুদ্ধে মামলা নেবে?
যে রক্ষক- সে ভক্ষক হলে
থানার কিবা করার আছে
তারপরই তো জানাজানি
ইয়াবা মামলার দায় নিয়ে
সেই থেকে এ জেলেই আছি!
বি দ্রঃ লেখাটি দৈনিক প্রথম আলোর এই প্রতিবেদন অবলম্বনে লেখা হয়েছেঃ https://bit.ly/2LzjP1C
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)