উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

কবিতা এবং আমি (তিন)

কবিতা এবং আমি (তিন)

অভিমানী কবিতা! ওভাবে তাকিয়ো না।
তোমার দুটো জ্বলন্ত চোখের দিকে তাকালে
আত্মগ্লানিতে হৃদকম্পন নিভু নিভু করে।
বুকের মাঝে এক ঝটকা আগুন ঘূর্ণি দিয়ে যায়।
অঙ্গারের ধাক্কায় গলা দিয়ে বেরিয়ে আসে অদৃশ্য ছাই।

সমস্ত শক্তি পাঁচ আঙ্গুলে এসে ভীড় করে।
উদভ্রম হয়ে পাশ বালিশটা আকড়ে ধরে রাখি।
ধীরে ধীরে আমার নিশ্বাস ভারী হতে থাকে।
দূরে-বহুদূরে যেয়েও তোমার কাছে ফিরি!
তারপরে তলিয়ে যাই সীমাহীন ক্লান্তির রাজ্যে।
ক্লান্ত দেহের কাছে হার মানে তোমার অভিমান।

সত্যি আজ বহু দূর দিগন্তে মিশে গিয়েছি।
কিন্তু বিশ্বাস করো কখনোই হারাতে চাইনি।
একদন্ড শান্তির খোঁজে পরেছিলাম এ মুখোশ
মিথ্যে সে মুখোশের আড়ালে হারিয়েই গেলাম।
তুমিতো জানো মুখোশ আর এই আমার পার্থক্য।
ঠিক বলেছিলে! মুখোশ খোলা মোটেও সহজ নয়।
যুদ্ধ করে আগুন থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
কিন্তু আগুনে হাত রেখে না পোড়া অসম্ভব।
যুগে যুগে তাদের কাছে আমরা অবনত।
মিস্টার হাইডদের কাছে জেকিলরা পরাজিত।

মানুষরূপী শিকল থেকে মুক্তি খুঁজতে খুঁজতে 
স্বেচ্ছাশেকল জড়িয়ে পণ্য হয়ে গিয়েছি।
জন্মেই দানবগুলো থেকে মুক্তি খুঁজেছিলাম।
কিন্তু আজ স্বেচ্ছায়ই নিজেকে সঁপে দিয়েছি।

জানতাম সঙ্গ দোষে ভাসবে কেউ; আমি ভাসবো না।
কিন্তু কীভাবে যে ভেসে গেলাম তাও জানলাম না।
কবিতা! দোহাই তোমার আকুতি আমার শুনো
তোমার আগুন দৃষ্টি সরাও! পুড়িয়ে দিও না।
ভেসে যেতে দাও এ স্রোতের সাথে অন্যায় পথে…

প্রথম পর্ব

দ্বিতীয় পর্ব

চতুর্থ পর্ব


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ