বিবিধ

ঈদ আনন্দ স্বার্থক যখন...

ঈদ আনন্দ স্বার্থক যখন...
এটা সত্য যে- আমাদের এই ছোট দেশে চ্যানেলের সংখ্যা অস্বাভাবিক পর্যায়ে। যেকারণে চ্যানেলে-চ্যানেলে চলে প্রতিযোগিতা। কে কয় দিনব্যাপী ঈদ আয়োজন করতে পারে, কতোটা নাটক, টেলিফিল্ম দেখানো যায়- ইত্যাদি। তবে সচেতন দর্শক ফাঁকা হাসি, অহেতুক আবেগ কিংবা অবাস্তব কাহিনীর চিত্রায়ন পছন্দ করেন না। তাই দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখাও হয়ে যাচ্ছে একটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর হবেই না কেনো? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন হুমায়ুন আহমেদ। কয়েক বছর আগে- উনার এক সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেছিলেন- “আগে দু-একটা চ্যানেল থাকায় চাপ থাকতো না, আর এখন চ্যানেল বেড়ে যাওয়ায় গল্প দেয়ার ওপর চাপ আসে”। উনার এই কথায় একটা গভীরতা আছে। যারা লেখক তারা হয়ত ঠিকই টের পেয়েছেন। যেমন- স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া আর চাপ দিয়ে আদায় করার মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। লেখক, গল্পকার বা নাট্যকারের মাথায় যখন চাপ কাজ করে তখন প্রদত্ত লেখা নিম্নমানের হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফলে যা হওয়ার তাই; নাটকের সংখ্যা বাড়ে তবে দর্শকেরা ভালো কিছু পায় না।   এদিকে, ইলেকট্রিক হোক বা প্রিন্টেড মিডিয়া- সব জায়গায় ঈদ মানেই টিভি’র পর্দার আয়োজন। সেটার প্রচার-প্রচারণা। যদিও টেলিভিশন যেনো অলস সময়ে একটা ‘মন ভুলানো মেশিন’। তাই মনে হয়- মন ভুলানো খেলায় নিজেকে না মাতিয়ে রেখে আত্মীয়দের খোঁজখবর নেয়া, দূরে কিংবা আসেপাশে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যেই ঈদ আনন্দের স্বার্থকতা জড়িত…

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন