প্রথমে সবাইকে ঈমান আনতে হবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (স:) এর উপর. তাহলে একজন বান্দা হবেন মু'মিন. এরপরই এসব ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ন হেদায়াত দান করা হয়েছে। হেদায়াতগুলো হলো:
১. দুনিয়ার যে বিপদই আসে তা আল্লাহতাআলার অনুমতিক্রমেই আসে. এরূপ অবস্থায় যে ব্যক্তি ঈমানের উপর অবিচল হয়ে থাকবে, আল্লাহ তাআলা তার দিলকে হেদায়াত দান করেন। নতুবা ঘাবড়ে গিয়ে বা হতাশাগ্রস্থ হয়ে যে ব্যক্তি ঈমানের পথ হতে বিচ্যুত হবে, তার বিপদ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া দূর তো হতে পারে না, অবশ্য সে এরূপ করে অপর একটি অতি বড় বিপদ ডেকে আনে. আর সে বিপদ হলো- তার দিল আল্লাহর হেদায়াত হ'তে বঞ্চিত হয়ে যায়.
২. মু'মিন ব্যক্তির কাজ কেবল ঈমান আনাই নয়, ঈমান আনার পর কার্যত: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের(স:) আনুগত্য -অনুসরণ করা তার একান্তই কর্তব্য। আনুগত্য স্বীকার এবং বাস্তব আনুগত্য এড়িয়ে গেলে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, সে জন্যে সে নিজেই দায়ী হবে. কেননা রাসুলে করিম (স:) তো প্রকৃত ও সত্য দ্বীন পৌঁছে দিয়ে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে গেছেন।
৩. মুমিনের ভরসা, নির্ভরতা নিজের শক্তি সামর্থ্য বা দুনিয়ার কোন শক্তির উপর থাকে না. মু'মিনকে ভরসা এবং নির্ভর করতে হবে কেবল এক আল্লাহর উপর.
৪. মু'মিন ব্যক্তির জন্য তার ধন-মাল এবং বংশ-পরিবার একটা বহু বড় পরিক্ষার ব্যাপার। কেননা সাধারনত: এসব জিনিসের মায়ায় পড়েই মানুষ ঈমান ও খোদানুগত্যের পথ হতে বিরত থাকে ও বিপরীত পথে চলতে বাধ্য হয়. এ কারণে ঈমানদার লোকদের কর্তব্য নিজের নিজের পরিবারবর্গ সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা করতে অবলম্বন করা, যেন কোন আপনজন তাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খোদার পথ হতে বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাদের ধনমাল খোদার পথে ব্যয় করতে থাকা কর্তব্য, যেন তাদের মন অর্থপুজার কঠিন রোগে নিমজ্জিত হতে না পারে এবং তা হতে সুরক্ষিত হতে পারে।
৫. প্রত্যেকটি মানুষ তার সামর্থনুযায়ী শরীয়ত পালনের জন্যে দায়িত্বশীল। মানুষ নিজের শক্তি সামর্থে বাইরে কাজ করবে, এটা আল্লাহতা'আলা চান না. অবশ্য প্রত্যেককে নিজের শক্তি-সামর্থ অনুপাতে খোদাকে ভয় করে চলতে হবে. সে জন্যে প্রত্যেককে প্রাণ-পণে চেষ্টাও করতে হবে. যতদূর সম্ভব খোদাকে ভয় করেই জীবন-যাপন করা তার কর্তব্য। এ ব্যাপারে এক বিন্দু ত্রুটি করা উচিত নয়. তার কথা বলা, কাজ-কর্ম করা ও নৈতিক ভুমিকা পালনে নিজের ত্রুটির কারণে খোদা নির্ধারিত সীমা যেন লংঘিত না হয় - সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে.
শব্দার্থে আল কুরআন মজিদ, অনুবাদ মতিউর রহমান খান অবলম্বনে।
ধর্ম ও গবেষনা
সূরা আত তাগাবুনের সার সংক্ষেপ
ব্লগটি লিখেছেন: trrino
| ১২ মার্চ ২০১৫
প্রথমে সবাইকে ঈমান আনতে হবে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (স:) এর উপর. তাহলে একজন বান্দা হবেন মু'মিন. এরপরই এসব ঈমানদার ব্যক্তিদেরকে কতিপয় গুরুত্বপূর্ন হেদায়াত দান করা হয়েছে। হেদায়াতগুলো হলো:
১. দুনিয়ার যে বিপদই আসে তা আল্লাহতাআলার অনুমতিক্রমেই আসে. এরূপ অবস্থায় যে ব্যক্তি ঈমানের উপর অবিচল হয়ে থাকবে, আল্লাহ তাআলা তার দিলকে হেদায়াত দান করেন। নতুবা ঘাবড়ে গিয়ে বা হতাশাগ্রস্থ হয়ে যে ব্যক্তি ঈমানের পথ হতে বিচ্যুত হবে, তার বিপদ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া দূর তো হতে পারে না, অবশ্য সে এরূপ করে অপর একটি অতি বড় বিপদ ডেকে আনে. আর সে বিপদ হলো- তার দিল আল্লাহর হেদায়াত হ'তে বঞ্চিত হয়ে যায়.
২. মু'মিন ব্যক্তির কাজ কেবল ঈমান আনাই নয়, ঈমান আনার পর কার্যত: আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের(স:) আনুগত্য -অনুসরণ করা তার একান্তই কর্তব্য। আনুগত্য স্বীকার এবং বাস্তব আনুগত্য এড়িয়ে গেলে যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে, সে জন্যে সে নিজেই দায়ী হবে. কেননা রাসুলে করিম (স:) তো প্রকৃত ও সত্য দ্বীন পৌঁছে দিয়ে দায়িত্ব মুক্ত হয়ে গেছেন।
৩. মুমিনের ভরসা, নির্ভরতা নিজের শক্তি সামর্থ্য বা দুনিয়ার কোন শক্তির উপর থাকে না. মু'মিনকে ভরসা এবং নির্ভর করতে হবে কেবল এক আল্লাহর উপর.
৪. মু'মিন ব্যক্তির জন্য তার ধন-মাল এবং বংশ-পরিবার একটা বহু বড় পরিক্ষার ব্যাপার। কেননা সাধারনত: এসব জিনিসের মায়ায় পড়েই মানুষ ঈমান ও খোদানুগত্যের পথ হতে বিরত থাকে ও বিপরীত পথে চলতে বাধ্য হয়. এ কারণে ঈমানদার লোকদের কর্তব্য নিজের নিজের পরিবারবর্গ সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা করতে অবলম্বন করা, যেন কোন আপনজন তাদেরকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খোদার পথ হতে বিভ্রান্ত করতে না পারে। তাদের ধনমাল খোদার পথে ব্যয় করতে থাকা কর্তব্য, যেন তাদের মন অর্থপুজার কঠিন রোগে নিমজ্জিত হতে না পারে এবং তা হতে সুরক্ষিত হতে পারে।
৫. প্রত্যেকটি মানুষ তার সামর্থনুযায়ী শরীয়ত পালনের জন্যে দায়িত্বশীল। মানুষ নিজের শক্তি সামর্থে বাইরে কাজ করবে, এটা আল্লাহতা'আলা চান না. অবশ্য প্রত্যেককে নিজের শক্তি-সামর্থ অনুপাতে খোদাকে ভয় করে চলতে হবে. সে জন্যে প্রত্যেককে প্রাণ-পণে চেষ্টাও করতে হবে. যতদূর সম্ভব খোদাকে ভয় করেই জীবন-যাপন করা তার কর্তব্য। এ ব্যাপারে এক বিন্দু ত্রুটি করা উচিত নয়. তার কথা বলা, কাজ-কর্ম করা ও নৈতিক ভুমিকা পালনে নিজের ত্রুটির কারণে খোদা নির্ধারিত সীমা যেন লংঘিত না হয় - সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে.
শব্দার্থে আল কুরআন মজিদ, অনুবাদ মতিউর রহমান খান অবলম্বনে।
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1825 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1715 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1559 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1557 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1507
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
"তুমি মর কারো ঠেলায়,কেউ-বা মরে তোমার চাপে''
অর্ফিয়ুস
২১ সেপ্টেম্বার ২০২০
প্রাণ খুলে চাই তাঁর কাছে
নীলজোসনা
২ এপ্রিল ২০২০
আমাদের ভুলে, আটকানো জটা সময়ের
নীলজোসনা
১৫ জানুয়ারী ২০২০
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
মোহরানা কেবল লোক দেখানো আচার নয়, নারী কেনা বেচাও ন...
তৃণ
২৭ অক্টোবার ২০১৫
জ্ঞান-এর প্রয়োজনিয়তা পর্ব ২
তৃণ
১২ মার্চ ২০১৫
জ্ঞান-এর প্রয়োজনিয়তা পর্ব ১
তৃণ
১২ মার্চ ২০১৫
ইসলামী আন্দোলন, জনতার দাবী হোক
তৃণ
২ মার্চ ২০১৫
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)