
জুলিয়েট ব্রিনদ্যাক । যাকে বলা হয়,''কোটিপতি কিশোরী'! মাত্র ষোল বছর বয়সেই যার ইনকাম প্রায় ১৬লাখ ডলার,বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২কোটি টাকা। এতো অল্প বয়সেই এই কিশোরী বিখ্যাত তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন,এবং প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়ী নারী হিসেবে এখনই নাম লিখিয়েছেন।
কিন্তু কিভাবে?
মাত্র দশ বছর বয়সে জুলিয়েট তৈরী করেন, 'মিস ও এন্ড ফ্রেন্ডস'
https://www.missoandfriends.com/ নামে একটি ওয়েবসাইট যা শুধু মাত্র টিনএজ মেয়েদের জন্য। সমাজে টিনএজার মেয়েদের অবস্থান,তাদের চিন্তা-ভাবনা,ভবিষত পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ক এই ওয়েবসাইট টি খুব অল্প সময়েই ব্যাপক সাড়া তৈরী করে। ২০০৫ সালের এপ্রিলে এটিকে ব্যবসায়িক অবস্থান অনুযায়ী তৈরী করা হয়,এর ফলশ্রুতিতেই জুলিয়েট দ্রুত পৌছাতে পেরেছেন তার আজকের এই অবস্থানে। বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটির নেট আয়,৩০ মিলিয়ন ডলার।
জুলিয়েটের জন্ম নিউইয়র্ক সিটিতে এবং সে বড় হয় গ্রীনউইচে। বাবা-মা যথাক্রমে পাউল এবং হারমেইন ব্রিনদ্যাক এবং ছোট বোন অলিভিয়া কে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবন জুলিয়েটের।
খুব অল্প অয়সেই একজন টিনএজার মেয়ের জন্য যা কিছু যেমনটি চাই এই প্রয়োজনিয়তা অনুভব করেই তৈরী করেছেন 'মিস ও এন্ড ফ্রেন্ডস' ওয়েবসাইট। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে যা আজ বিশ্বের সেরা ওয়েব সাইট গুলোর মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগানো একটি। এক সাক্ষাৎকারে জুলিয়েট বলেন,
-প্রথম যখন আমি এই ওয়েবসাইট শুরু করি,অবশ্যই অনেক রক সমস্যা মোকাবেলা করেছি,বয়স কম ছিলো,অনেকেই আমার কাজ গুলো কে সিরিয়াসলি নিতে চাই তো না,আমার এডমিন টিম সময় মতো সাপোর্ট করতো না,ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সমস্যা সহ অনেক ধরনের সমস্যা পার করতে হয়েছে,কিন্তু আমার মাথায় একটা সূত্র কাজ করতো,আর তা হলো 'কখনোই হার মেনো না,চেষ্টা অবশ্যই করতে হবে'। এবং আজ আমি যা হয়েছি,তা আমার নিজের জন্যই অনেক বড় প্রেরণা।
এ পর্যন্ত সাফল্যের মধ্যে জুলিয়েটের সেরা ৩টি সাফল্য হচ্ছে,
- ২০০৬ সালে সেরা সর্বোচ্চ সিঙ্গেল ইনভেষ্টেটর হিসেবে প্রোক্টর এন্ড গাম্বেল ইনভেষ্টিং এ নাম লেখানো।
-'মিলিয়ন ইউনিক ভিজিটরস' সাইটের মালিক হিসেবে নাম লেখানো।
- 'মিস ও এন্ড ফ্রেন্ডস' ওয়েবসাইট কে বিখ্যাত এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড স্পোর্টস এজেন্সী, ক্রিয়েটিভ আর্টিষ্ট এজেন্সি (CAA) এর সাথে রিপ্রেজেন্ট করা।
জুলিয়েটের দৃষ্টিতে সফল টিম ওয়ার্কের জন্য চাই, এমন একটি টিম যেখানে থাকবে,বিশ্বাস,ইচ্ছে এবং সম্মান। এক বা দু'জন এর প্রবল ইচ্ছে নয়,টিমের সবার ভেতরে থাকতে হবে সেই ইচ্ছে যা পারবে আপাত দৃষ্টিতে অসম্ভব কে সম্ভব করতে। কখনো কখনো ভুল হবে,কাংখিত ফলাফল আসবে না,কিন্তু টিম সব সময় তৈরী থাকবে নতুন কিছু করার,নতুন আইডিয়া দেবার এবং সামনে এগিয়ে যাবার।
জুলিয়েট তার কাজের সফলতার সবচেয়ে বড় অংশীদার হিসেবে মনে করেন নিজের বাবা-মা কে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে,জুলিয়েটের ইচ্ছে আছে, বিজনেস কমিউনিকেশন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নেবার এবং পাশাপাশি প্রযুক্তি নিয়েও পড়াশুনা করার।
- মিলিয়ন ডলার ইন্টার্ন কে দেয়া একটি সাক্ষাৎকার অবলম্বনে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)