উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)

দেখলি, সে কত কেঁদেছে?

দেখলি, সে কত কেঁদেছে?
প্রিয়জনের মৃত্যুতে এমনিতেই কান্না চলে আসে। আর সেই ব্যক্তিকে ঘিরে যদি আনন্দঘন মুহূর্ত থাকে- তাহলে দুঃখ-শোকের মাত্রা থাকে বেশি। [u]তবুও বুক চাপড়ে, মাথা ফাটিয়ে কিংবা শোকের গান গেয়ে (কিছু মহিলাদের এমনটি করতে দেখা যায়) মাতম করার সিস্টেম ধর্মে নেই।[/u] বরং- মৃতদেহকে দেখে এটাই স্মরণ করার বেশি প্রয়োজন যে-এই লাশটার মতো একদিন আমরাও থাকবো অসহায়- কথা বলা কিংবা কোনো কাজ করা তো দূর সামান্য নাড়াচাড়ারও ক্ষমতা থাকবে না। সে তো তার আমল নিয়ে চলে গেছে-আমি কতটুকু ভালো কাজ করতে পেরেছি? জবাবদিহিতার ক্ষমতা তো নেই, কি নিয়ে আল্লাহ’র সামনে যাবো”? কিন্তু আমরা খুব কম মানুষই মৃতদেহ দেখে এমনটি স্মরণ করি। শুধু তাই নয়- আজব ব্যাপার হলো, কারো মৃত্যুতে কেউ বেশি ক্রন্দন করলে মৃত্যু ব্যক্তির একজন আরেকজনকে বলে উঠে- [u]“দেখলি, সে কত কেঁদেছে? সবার চেয়ে বেশি তো সেই কেঁদেছে, ওমুককে (মৃত ব্যক্তিকে) সে কতই না ভালোবাসতো”! [/u]অথচ লাশ উঠার দেরি না- সেই অধিক ক্রন্দনরত ব্যক্তির চা-বিস্কিট খাওয়া শুরু হয়ে যায়। না, চা-বিস্কিট খাওয়া মানা এমন আমি বলছি না। কিংবা শোকের বাড়িতে ক্ষুধা চেপে রাখার কথাও বলছি না। [u]তবে বিরোধীতা সেই জায়গায় যেখানে মানুষের কান্নার সীমা পরিমাপ করা হয়- যে কারণে অনেকে লোক দেখানোর জন্য মাতম করা শুরু করে……[/u]

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন