বিবিধ

গোশত বন্টনের সময়কার বাকবিতন্ডা পর্ব-২

গোশত বন্টনের সময়কার বাকবিতন্ডা পর্ব-২
কুরবানিঃ পর্ব-১  এখানে- মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে রান পাঠানো যেমন ফরজ নয়, তেমনি কার বাসা থেকে কত বড় সাইজের গোশত আসলো-সেটা জরিপ করাও জরুরি না। তবে আমাদের মধ্যাকার এমনই কিছু হীনমন্যতা, রেশারেশি, রীতি-নীতির রেশ ধরে পরিবার থেকে পরিবারে বড়দের মাঝে যেসব বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়- ওসব শুনে বিরক্ত হবো নাকি হাসবো সেটাই বুঝে আসে না। গোশত বন্টনের সময়কার Dialogue গুলো নিম্নরূপ- # সব তো আপনার পরিবারের লোকরাই রেখে নিলো,আমার বাসার হিস্যা কই? (স্বামীকে স্ত্রী) # তোমার বাসা থেকে এখনো রান আসে নাই ক্যান? (বউকে স্বামী+শাশুড়ি) # কি ব্যাপার? সব সময় দেয়, এই বার দেয় নাই ক্যান? আমাদের ভুলে গেলো নাকি? যাহ! তাহলে আমরাও দিবো না! # ওমা! এইটুক মাংস? এরূপ রকমারি বচন পরিবারের বিভিন্ন চরিত্রে থাকা ব্যক্তিদের মুখ থেকে নিঃসৃত হয়। হ্যা, এটা ঠিক যাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক কিংবা সম্পর্ক ভালো করার আগ্রহ থাকে- কিছু দেয়ার সময় তাদেরকে আমরা আগ্রাধিকার দেই। তবে আমাদের কিছু ছোটলোকি স্বভাবের কারণে সামান্য একটা গোশত পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কিংবা রীতি-রেওয়াজের রেশ ধরে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়- আর এই ফাঁকে আমরা হাসি ফুঁটাতে ভুলে যাই সেসব পরিবারের মুখে যারা কুরবানি দিতে পারে নি। তাই আমি মনে করি- বন্টনের সময় আত্মীয়/অনাত্মীয়-যারা গরিব-মিসকিন তাদের কথা আমাদের মাথায় রাখা উচিত।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন