বিবিধ

কুরবানি সময়কার আমাদের মানসিকতা: পর্ব ১

কুরবানি সময়কার আমাদের মানসিকতা: পর্ব ১
ঈদুল আযহা সামনে করে যেসব মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়- # সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কৃপণতার স্বভাবে এনারা কুরবানি দিতে চান না- তবে অন্যের বাসা থেকে কুরবানির গোশত আসবে, সেই আশায় বসে থাকেন। # এদের যেমন সামর্থ্য থাকে যাকাত দেয়ার তেমনই সামর্থ্য থাকে কুরবানি দেয়ার। তবে এনারা যাকাত দেন না, অধিক মূল্যে পশু ক্রয় করে কুরবানি দেন (যদিও এর চেয়ে কমেও কুরবানির পশু পাওয়া যায়)- আর এ কাজের পিছনে এনাদের ভিতরকার প্রদর্শনী ও অহংকারী মনোভাব কাজ করে। # এনারা কুরবানির তাৎপর্য বুঝেন না। অনেকটা হয়ত ঝামেলাও মনে করেন। তাই এই ঈদকে শুধু এবং কেবল শুধুই holiday হিসাবে ঘুরা-ফেরা করে কিংবা বাসায় টিভি দেখে সময় অতিবাহিত করেন। যদিও এই ঈদের অন্যতম উদ্দেশ্য এবং আনন্দ কুরবানি দেয়ার মাধ্যমেই। # এনাদের সামর্থ্য নাই, তবে “পাছে লোকে কি বলবে”- এই মানসিকতায় ভুগতে থাকেন। যদিও এনাদের সহ সমাজের সবারই এটা বুঝা উচিত- সবার সামর্থ্য সব সময় থাকে না। সুতরাং, কে কি বললো, কে কি ভাবলো, কিংবা লোক দেখানো বড় সাইজের পশু কুরবানি- এসব বড় কথা নয়, বরং সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো- “আপনার সামর্থ্য আছে, সুতরাং আপনার ওপর কুরবানি ওয়াজিব। আপনি গরু দেন বা ছাগল দেন- সেটাও আপনার সামর্থ্য”। তাই নিয়ত পরিষ্কার রেখে, আল্লাহ’র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কুরবানি দিতে হবে। কারণ- “It is neither their meat nor their blood that reaches God but your piety…” (Sura hajj, ayat-37) “এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া”…(সূরা হজ, আয়াতঃ ৩৭)

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন