গরিব,মধ্যবিত্ত কি ধনী, ছোট কি বড়-- আমাদের সমাজের অবস্থা হলো- ঈদে একটা নতুন জামা না হলে আমরা রাগ করি। পুরো রমজানটা হয় ঈদকেন্দ্রিক। কারণ- আমাদের ছোটবেলা থেকেই শিখানো হয়- রমজান আসা মানেই- “আর কটা দিন সবুর করো, ঈদ আসিবে…”. তাই কিসের ট্রেনিং, কিসের আত্মশুদ্ধি, কিসেরই বা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন? বরং পুরো মাস জুড়ে শুধুই যেনো অভুক্ত থাকার প্র্যাকটিস, কারো কাছে ওজন কমানোর উসিলা, সেই সাথে ঈদের কেনাকাটা। আমি কেনাকাটার বিপক্ষে নই তবে মূল উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়ে কর্ম যখন নির্দিষ্ট দিকে সীমালঙ্ঘন করে-আপত্তি, অতিরিক্ততা কিংবা অপচয় সেখানেই যেনো সৃষ্টি হয়। তাই দেখা যায়- ঈদকে সুন্দরভাবে উদযাপন করতে গিয়ে, কেনাকাটা করতে করতে শেষ, অথচ রমজান নামক এক নেয়ামতপূর্ণ মাসটি সফল হলো কি ব্যর্থ সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো চিন্তা নেই। কারণ আমরা তেমন চিন্তা করতে শিখিনি। শুধু তাই নয়- বরং যে মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলো হাজার মাসের ইবাদতের তুল্য- সেই দশ দিনেই দেখা যায় আমরা (ছেলে-মেয়ে) কেনাকাটা নিয়ে আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি। লেটেস্ট কালেকশানের আশায়। যদিও বাস্তবতা হলো- এই পৃথিবী যতদিন থাকবে- তত দিন লেটেস্ট কালেকশানের কমতি হবে না, কারণ আল্লাহ সকল সৃষ্টির সেরা ‘মানুষ’কে চমৎকারভাবে সৃষ্টি করেছেন- যার ব্রেন সবসময় চিন্তা করতেই থাকে। যে ব্যক্তি যে দিকটি নিয়ে চিন্তা করে- সে করতেই থাকে, নিত্য নতুন উদ্ভাবন হতেই থাকে। তবে এই ‘মানুষ’টি হেরে যায় একটা জিনিসের কাছে তাহলো- মৃত্যু। সুতরাং এই রমজানে আমি বরকতপূর্ণ রাতটিকে হেলায় ফেলায় অতিক্রম করলাম- কিন্তু কেউ কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে- আগামী বছরের রমজান আমি পাবো? পৃথিবীর সাজসজ্জা ক্ষণিকের মনোরঞ্জন, তাই এটাকে সীমার মধ্যে রেখে অনন্তকালের কথা চিন্তা করা উচিত। রমজানের সফলতার কথা মাথায় রাখা উচিত। আমার মতে, রমজানকে সফল করার একটা উত্তম উপায় হলো- নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের কোনো কুপ্রবৃত্তি, দূর্বলতা কিংবা এমন কোনো অভ্যাস যা অপছন্দনীয়-সেটাকে নিজ থেকে দূর করে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও কর্মকান্ড থেকে নিরাপদে থাকা। তবে আমাদের মধ্যে তেমন চিন্তা-চেতনার কমতি হওয়ায় প্রতিবছর রমজান ব্যর্থ হয়। ফলে বাকি ১১টা মাসও সেই একই ধারায় প্রবাহিত। যেনো ব্যর্থতাই জীবন, সীমালঙ্ঘনই হলো বদঅভ্যাস।
উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)
নতুন জামার জন্য শুধু রাগ করতেই শিখেছি...
ব্লগটি লিখেছেন: fm97
| ২৪ জুলাই ২০১৪
গরিব,মধ্যবিত্ত কি ধনী, ছোট কি বড়-- আমাদের সমাজের অবস্থা হলো- ঈদে একটা নতুন জামা না হলে আমরা রাগ করি। পুরো রমজানটা হয় ঈদকেন্দ্রিক। কারণ- আমাদের ছোটবেলা থেকেই শিখানো হয়- রমজান আসা মানেই- “আর কটা দিন সবুর করো, ঈদ আসিবে…”. তাই কিসের ট্রেনিং, কিসের আত্মশুদ্ধি, কিসেরই বা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন? বরং পুরো মাস জুড়ে শুধুই যেনো অভুক্ত থাকার প্র্যাকটিস, কারো কাছে ওজন কমানোর উসিলা, সেই সাথে ঈদের কেনাকাটা। আমি কেনাকাটার বিপক্ষে নই তবে মূল উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়ে কর্ম যখন নির্দিষ্ট দিকে সীমালঙ্ঘন করে-আপত্তি, অতিরিক্ততা কিংবা অপচয় সেখানেই যেনো সৃষ্টি হয়। তাই দেখা যায়- ঈদকে সুন্দরভাবে উদযাপন করতে গিয়ে, কেনাকাটা করতে করতে শেষ, অথচ রমজান নামক এক নেয়ামতপূর্ণ মাসটি সফল হলো কি ব্যর্থ সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো চিন্তা নেই। কারণ আমরা তেমন চিন্তা করতে শিখিনি। শুধু তাই নয়- বরং যে মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলো হাজার মাসের ইবাদতের তুল্য- সেই দশ দিনেই দেখা যায় আমরা (ছেলে-মেয়ে) কেনাকাটা নিয়ে আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ি। লেটেস্ট কালেকশানের আশায়। যদিও বাস্তবতা হলো- এই পৃথিবী যতদিন থাকবে- তত দিন লেটেস্ট কালেকশানের কমতি হবে না, কারণ আল্লাহ সকল সৃষ্টির সেরা ‘মানুষ’কে চমৎকারভাবে সৃষ্টি করেছেন- যার ব্রেন সবসময় চিন্তা করতেই থাকে। যে ব্যক্তি যে দিকটি নিয়ে চিন্তা করে- সে করতেই থাকে, নিত্য নতুন উদ্ভাবন হতেই থাকে। তবে এই ‘মানুষ’টি হেরে যায় একটা জিনিসের কাছে তাহলো- মৃত্যু। সুতরাং এই রমজানে আমি বরকতপূর্ণ রাতটিকে হেলায় ফেলায় অতিক্রম করলাম- কিন্তু কেউ কি নিশ্চয়তা দিতে পারবে- আগামী বছরের রমজান আমি পাবো? পৃথিবীর সাজসজ্জা ক্ষণিকের মনোরঞ্জন, তাই এটাকে সীমার মধ্যে রেখে অনন্তকালের কথা চিন্তা করা উচিত। রমজানের সফলতার কথা মাথায় রাখা উচিত। আমার মতে, রমজানকে সফল করার একটা উত্তম উপায় হলো- নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের কোনো কুপ্রবৃত্তি, দূর্বলতা কিংবা এমন কোনো অভ্যাস যা অপছন্দনীয়-সেটাকে নিজ থেকে দূর করে স্বেচ্ছাচারী মনোভাব ও কর্মকান্ড থেকে নিরাপদে থাকা। তবে আমাদের মধ্যে তেমন চিন্তা-চেতনার কমতি হওয়ায় প্রতিবছর রমজান ব্যর্থ হয়। ফলে বাকি ১১টা মাসও সেই একই ধারায় প্রবাহিত। যেনো ব্যর্থতাই জীবন, সীমালঙ্ঘনই হলো বদঅভ্যাস।
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1812 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1710 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1552 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1549 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1502
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
ভাই বড়ো ধন, রক্তের বাঁধন!
নীলজোসনা
৩ জানুয়ারী ২০২১
সে... এডুকেশনঃ বোকার রাজ্যে বসবাস
অর্ফিয়ুস
২৩ সেপ্টেম্বার ২০২০
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
সুযোগ বুঝে ব্যভিচার!
FM97
২১ মার্চ ২০১৬
ছবি প্রিন্টে সাবধান!
FM97
৩০ সেপ্টেম্বার ২০১৫
নিজেকে নিরাপদে রাখাই উত্তম...
FM97
২৩ সেপ্টেম্বার ২০১৫
পারষ্পারিক বোঝাপড়া যেখানে ব্যর্থ!
FM97
৫ সেপ্টেম্বার ২০১৫
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)