বিবিধ

ইনোন পরিকল্পনা কি বাস্তবায়নের পথে?

ইনোন পরিকল্পনা কি বাস্তবায়নের পথে?
“যখন আপনার শত্রুরা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন কোনো এক পক্ষকে শক্তিশালী করতে হস্তক্ষেপ করবেন না, উভয়কে দূর্বল হতে দিন”- ওবামা’র প্রতি ইসরাইল প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র এই পরামর্শ পড়ে ইনোন পরিকল্পনার কথা মনে পড়লো। কয়েকমাস আগে এই প্লানিং এর কথা পত্রিকায় পড়ি। ইনোন পরিকল্পনা হলো- আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখার জন্য ১৯৮২ সালে নেয়া ইসরাইলের কৌশলগত পরিকল্পনা। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওদেদ ইনোন (Oded Yinon) এই পরিকল্পনা তৈরি করেন। পরিকল্পনায় বলা হয়- আরবদেশগুলোকে উত্তপ্ত করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও দূর্বল রাষ্ট্রে পরিণত করা, দেশগুলোর মধ্যে এমনভাবে বিরোধ সংঘাত লাগিয়ে রাখা যাতে একপর্যায়ে এসব দেশের সরকার তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে কার্যত ইসরাঈলের আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মূলত বৃহত্তর ইসরাঈল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষিত তৈরির জন্য এটি করা হচ্ছে। এদিকে বর্তমানে ইরাকে যে আইএসআইএস {ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দি আল শাম(সিরিয়া)}গ্রুপটি যেটা আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লিভান্ড বা পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল বা বৃহত্তর সিরিয়া) নামেও পরিচিত এই সশস্ত্র সুন্নী মিলিশিয়া গ্রুপটি যখন ইরাক ও সিরিয়ায় সুন্নী বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে তখন বলা হয়ে থাকে একমাত্র কুর্দিস্তান(ইরাকের সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল) ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে’র সশস্ত্র শাখা “গণনিরাপত্তা বাহিনী” যা ‘ওয়াইপিজি’ নামে সুপরিচিত –এরাই পারবে আইএসআইএস কে ভালোভাবে মোকাবেলা করতে। সুতরাং প্রশ্ন হলো- US পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী কুর্দিস্তানে গিয়েছেন ইরাকে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে নাকি ইসরাইলের মতে দুই শত্রুকে-অর্থাৎ  ISIS (সুন্নী) এর বিপরীতে কুর্দিদের (শিয়া) উসকে দিতে? আমরা কি তাহলে আরো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ দেখার অপেক্ষায়। নৃতাত্ত্বিক, সম্প্রদায়গত  কিংবা সৈরাচারের বিরুদ্ধে- যাই বলি না কেনো প্রত্যেক মুসলমান দেশে যেনো এক একটা কারবালা রচিত হচ্ছে। সুতরাং রক্তস্নাত এই মুসলিম জাতি অচিরেই জাগবে  নাকি বাস্তবায়নের পথে ইনোন পরিকল্পনা?

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন