বিবিধ

দূর! এসব বলে কিছু হবে না!

দূর! এসব বলে কিছু হবে না!
সকাল সকাল রাস্তায় বের হয়ে দেখি কনফেকশনারীওয়ালা তার দোকানের ময়লাগুলো খুব সুন্দর করে ঝাড়ু দিয়ে ড্রেনে ফেলছে। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হলো- ভাই, দোকানে এতো কিছু আছে… একটা ডাস্টবিন নাই?! কিছু বলবো, বলবো … করে আর বলা হয় নি….দূর্বল ঈমান! প্রতিবাদ করি নি। রিকশা নিয়ে গন্তব্যে রাওয়ানা। হঠাৎ নজরে পড়ে- এক বাড়ির গৃহকর্ত্রী মেইনগেট থেকে রাস্তায় উঁকি দিয়ে হাতের ময়লার পোটলাটা ড্রেনের পানিতে ফেলে দিচ্ছে। ইচ্ছে হচ্ছিলো- রিকশাটা থামিয়ে উনাকে এমন কাজে নিষেধ করি। তাও হলো না, … দূর্বল ঈমান! প্রতিবাদ করি নি। সিগন্যালে রিকশা দাঁড়িয়ে। সামনে একটা প্রাইভেট গাড়ি এসে থামলো। পিছনের সিটে বসা লোকটি ফাস্টফুডের প্যাকেটটা জানালা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। ইচ্ছে করছিলো- প্রতিবাদ করতে। কারণ লোকটি আরেকটু এগিয়ে রাস্তার ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে পারতো। যাই হোক, অপরিচ্ছন্নমূলক এসব কাজকে শুধু অন্তর থেকে ঘৃণা করলাম... দূর্বল ঈমান! প্রতিবাদ করি নি। আমাদের আসলে দুই জায়গায় সমস্যা- প্রথমত, আমরা নিজেরাই নিজেদের অসুবিধার জন্য দায়ী থাকলেও সেটা স্বীকার করি না। ডেনের পানি উপচে পড়লে ব্যবস্থাপনাকে গাল দেই, যদিও অব্যবস্থাপনার জন্য নিজেও কি দায়ী নই? ড্রেনে ময়লা থাকলে পানি নিষ্কাশন হবে কি করে? ধরে নিলাম- পরিচ্ছন্নকর্মী কাজে ফাঁকি দেয়, অভিযোগ করেও লাভ হবে না, তবে নিজ এলাকা নিজেরা পরিষ্কার রাখা যায় না? এলাকাভিত্তিক তো বিভিন্ন ক্লাব আছে। সুতরাং, এই ক্লাবের উদ্যোগে “পরিচ্ছন্ন কর্মসূচী” সহজেই গড়ে তোলা যায়। সেই সাথে সচেতনতা বাড়ানো যায়। দ্বিতীয়ত, আমাদের অবস্থা হলো- অন্যায় চেয়ে দেখি, প্রতিবাদ করি না। ‘কে কি ভাবলো, কি বুঝলো’, ‘দূর! এসব বলে কিছু হবে না’, ‘থাক! আমার কি? নিজের চরকায় তেল দেই’- এমন কিছু কথা আমাদের মাথায় ধুরপাক খায়। ছোট ছোট অন্যায়গুলো অগ্রাহ্য করি। অথচ, এগুলোই এক সময় বড় অন্যায় ও দূর্নীতিতে পরিণত হয়।  আল্লাহ আমাদের সৎসাহস দিক।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন