মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

খুব বেশি দুঃশ্চিন্তা হলে..

খুব বেশি দুঃশ্চিন্তা হলে..
কোনো কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়া অধিকাংশ মানুষের একটা সাধারণ সমস্যা। হতাশা থেকে বা অতিমাত্রায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লে দুশ্চিন্তা এসে ভর করতে পারে। দুশ্চিন্তাকে একপ্রকার শক্তি বলা যেতে পারে, যা আপনাকে মানসিকভাবে এমনকি শারীরিকভাবেও দুর্বল করে দেয়। এই শক্তিকে দমন করা শিখতে হবে।   এক শক্তিকে অন্য শক্তিতে রুপান্তর করে নিতে পারলে আপনি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কোনো কারণে হতাশ হয়ে পড়লে বরং এটাকে একটা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে মনে করুন। এ ক্ষেত্রে কিছু অনুশীলন আপনার কাজে লাগতে পারে।   ১) সমস্যা চিহ্নিত করুন:   হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে হতাশার কারণ কি তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করুন। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনি সমস্যার অংশ না, বরং সমস্যাটি আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় একটি বাধা।   ২) প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নিন:   শ্বাস-প্রশ্বাস হচ্ছে আপনার জীবন। প্রাণখুলে নিঃশ্বাস নিতে নিতে ভাবুন ‘সব ঠিক আছে’। তখন আপনার মনে হবে, অবসাদ আর কিছুই নয়, একটু নিঃশ্বাসের অভাব।   ৩) সহানুভূতিশীল হোন:   প্রিয় মানুষদের জন্য এবং নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। নিজেকে ভালবাসুন। ভালবাসা মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় চাহিদা। আপনি নিজেকে ভালবাসলে অন্যদের থেকেও ভালবাসা পাবেন।   ৪) কারো সহযোগিতা নিন:   নিজের আবেগ অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য প্রিয়জন প্রয়োজন। এমন কাউকে ভালবাসুন, যাকে আপনি সত্যিই বিশ্বাস করেন। বিশ্বাসী মানুষটির কাছে নিজের আবেগ প্রকাশ করুন। এতে আপনার হৃদয় প্রশস্ত হবে, ভয় দূর হবে।   যখন আপনি নিজেকে ভীষণভাবে বিপদগ্রস্ত মনে করবেন, উপরোক্ত অভ্যাসগুলো চর্চা করুন। পরিবর্তনটা নিজেই অনুভব করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম, ধ্যান বা প্রার্থনা এই চর্চাগুলোর ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। সূত্র-প্রিয় ডট কম।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)