বিবিধ

কারো বই পড়ার সিস্টেম না জানা থাকলে জেনে নিন (দয়া করে পুরো লেখাটা একবার মনোযোগ দিয়ে পড়)

কারো বই পড়ার সিস্টেম না জানা থাকলে জেনে নিন (দয়া করে পুরো লেখাটা একবার মনোযোগ দিয়ে পড়)
হে বাপু ! তোমার পুর্ববর্তিগণ আদাজল খেয়ে নিজেদের আসল কাজকর্ম ভুলে গিয়ে মাওলানা মওদূদীকে (রহ) এতটা প্রমোট দিয়েছেন যে, পুর্ব পশ্চিমের প্রতিটি প্রান্তরে কুটি কুটি বনী আদম তার সাহিত্যের সাথে পরিচিত হচ্ছে প্রতিদিন। সাথে সাথে অতি সম্মানের সাথে তার নাম নিয়ে দোয়া করছে।। কি দরকার নতূন করে আরো কিছু ভক্ত বাড়ানোর। যেগুলো আছে তাদের কেই তো দুনিয়ার কাফের মুশরিকরা সামলাতে পারছে না। এবার খ্যান্ত দেও বাপুরা। তারপরেও একটা ফ্রী পরামর্শ দেই বাছাধনেরা। কারো বই পড়ার সিস্টেম না জানা থাকলে অভিজ্ঞ কোন এক জনের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে নাও। মেডিকেল স্টুডেন্ট যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের কিতাব নিয়ে না বুঝে উল্টা পাল্টা ভূল ধরে কান্দাকাটি করে তাহলে দোষটা কার, যে বই লিখলো তার না যে যোগ্যতার উর্ধে উঠে বেহুদা লাফ মারলো তার ? নিজের যোগ্যতার বাইরে ভাবতে গেলে পাগল হয়ে মাথার চুল গুলো অকালে হারাবে বাপুরা। এমনিতেই তোমাদের কিতাব পত্রের মারেফাতী রসের একটু একটু করে নিঃস্বরণ শুরু হয়েছে। এসবের গন্ধও কিন্তু তেমন একটা সূবিধার না বাপু ! ইতিমধ্যে অনেকে সেগুলো নিয়ে বিস্তর সমালোচণা শুরু করেছে কেবল মাত্র এই অধম ছাড়া। আমার পরামর্শটা মন দিয়ে শুনো। কারো বই পড়ার আগে মনোজগত থেকে সকল ধরনের ঝোক প্রবণতা, নেতিবাচক বা ইতিবাচক সকল প্রকার দৃষ্টি ভংগিকে ধুয়ে মুছে নাও। অতঃপর সত্য সন্ধানীর দৃষ্টি নিয়ে প্রতিটি লাইন মনোযোগ দিয়ে পড়ো। যদি একটি শব্দ নিয়ে বিভ্রান্তী তৈরি হয় তাহলে পুরো বাক্যটির সাথে মিলিয়ে নিয়ে কয়েকবার পড়ো। যদি একটি বাক্য নিয়ে বিভ্রান্তী তৈরি হয় তাহলে পুরো পুর্বের কোন প্যারার সাথে মিলিয়ে কয়েকবার পড়ো। যদি একটি প্যারা বা শিরোনাম নিয়ে বিভ্রান্তী তৈরি হয়, তাহলে পুরো বইর ভুমিকাটি কে সামনে নিয়ে আগে পিছে মিলিয়ে আরো কয়েকবার পড়ো। এর পরেও যদি পুরো বইটিই বুঝতে ব্যর্থ হও বা বিভ্রান্তীতে পড়ো তাহলে লেখকের বই লেখার মূল উদ্ধেশ্য কে সামনে নিয়ে চিন্তা করে দেখো যদি কোন সমাধাণ বা মানসিক প্রশান্তি পাও তাহলে পড়ে চিন্তা করো বর্তমান বাস্তবতার সাথে লেখার কোন না কোন মিল পেলে কিনা। তাতেও যদি শান্তি না পাও তাহলে বইটি কে বাদ দিয়ে অন্য কাজে মন দাও। আর বুঝে নাও যে, লেখক সম্পর্কে পূর্বের ধ্যান ধারণা তোমার মনজগতকে এতটাই আচ্ছন্ন করে রেখেছে যে, তুমি লেখকের লিখিত বইগুলোর প্রতিটি ছত্রের আড়ালে তোমার অন্তরে পোষণ করা ধারণা সমৃদ্ধ কিতাবের পৃষ্টাগুলোই অনবরত পাঠ করে যাচ্ছো। এর থেকে ভালো হয় বইটি কে এড়িয়ে গিয়ে অন্য বই অধ্যায়ন শুরু করো। কারণ যে কোন বইর কোন একটি বিষয় তুমি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছো তার মানে এই নয় যে, পুরো বইটি বাতিল যোগ্য অথবা বুঝার মতো না। সর্বশেষ আরো একটা পরামর্শ দেই বাপু। বান্দারামীর একটা সীমা থাকে উচিত। বান্দারামী বেশি করলে কিন্তু লোকজন জোকার বলে ডাকা শুরু করবে। অতএব সাধু সাবধাণ।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ