বিবিধ

ভালোবাসা বেকারদের জন্য নয়।

ভালোবাসা বেকারদের জন্য নয়।
বাগানের পাশেই ঘরটা। ঘরের একমাত্র জানালাটাও বাগানের দিকেই। খুব একটা রাত না হওয়ায় চাদটা উঠি উঠি করেও উঠছেনা। তাই ঘরটা অন্ধকারই বলা চলে। ঘরের একমাত্র স্টিক লাইটটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এই অবস্থা। আসরাফ সাহেব বিকেলে একবার মোড়ের দোকানটায় গেছেন। আগের বাকিগুলা শোধ নাকরা পর্যন্ত দোকানদার আর কিছু দিতে রাজিনয়। অগত্যা তিনি খালি হাতেই ফিরে আসেন। ইদানিং তিনি সংসারের জন্য কিছুই করতে পারছেন না। ঘরের মেঝেয় বিছানা করে রুদ্র শুয়ে আছে। রুদ্রর শরীরটা কেমন ভারভার লাগছে। হয়তো জ্বর আসবে। জানালা দিয়া প্রচন্ড বাতাস আসছে। কিছুটা শীত শীতও করছে। লাগিয়ে দিলেই হয়ে যায় । কিন্তু কেনযানি লাগাতে ইচ্ছা করছেনা । তবে একটা কারন হতে পারে জানালা দিয়া বকুল ফুলের তীব্র গন্ধ আসছে। কেমন নেশা ধরিয়ে যায় টাইপের গন্ধ। আচ্ছা এখনকি বকুল ফুল ফোটার কথা? এইটা ঠিক কি মাস? রুদ্র মনে করার চেস্টা করছে। পারছেনা। ইদানিং সে অনেক কিছুই মনে করতে পারেনা। তবে একটা জিনিস মনে আছে। পারুর বিয়ের দিনটি। পাচেই শ্রাবন। প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো সেইদিন। কুকুর বেড়াল বৃষ্টি। এই বৃষ্টির ভেতর রুদ্র সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত দারিয়ে ছিলো পারুদের বাসার সামনে। আশা একবার পারু বেরিয়ে আসবে তাকে দেখতে পারু বেরোইনি। হয়তো সময় পায়নি। রুদ্র আরো অপেক্ষা করতো। পারেনি কারন ৭ দিকে এক পথচারী রুদ্রকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। ওর তখন নিউমোনিয়া টাইপের কিছু। দশদিনের দিন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় সে। তারপর থেকেই মাঝে মাঝে জ্বর আসে। মাসে একদিন আসরাফ সাহেব ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ডাক্তার তাকে ফিসফিসিয়ে কি যানি বলে। রুদ্র কথাগুলো ঠিক বুঝেনা। পারুকে আর কখনোই দেখা হয়না তার। কারন ভালোবাসা রুদ্রদের মতো বেকারদের জন্য নয়।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ