স্ট্রেস এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক চাপ যা বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি আপনার চারপাশের এক ধরনের চাপ, যা আপনাকে প্রভাবিত করে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নানা রকম চাপের সম্মুখিন হই। কারো ক্ষেত্রে এর সহনশীলতা কম আবার কারো বেশি। স্ট্রেস দেহের বাইরের ও ভেতরের উভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে জীবন দূর্বিষহ হয়ে যেতে পারে।
স্ট্রেসের লক্ষণগুলো ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে, প্রকাশও পায় বিভিন্নভাবে।
শারীরিক লক্ষণ
* ব্যাক পেইন
* শ্বাসকষ্ট
* ঘাড় বা চোয়াল শক্ত বোধ করা
* দেহের ওজন বাড়া বা কমা
* ঘুমের ব্যাঘাত
* মাংসপেশিতে টান (টেনশন)
* মাথাব্যথা
* পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা (কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা বদহজম)
* ক্লান্তি মানসিক লক্ষণ
* স্নায়ুবিক দুর্বলতা
* দুশ্চিন্তা
* খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অতিরিক্ত খাওয়া
* কাজে অনাগ্রহ
* উদ্যমহীনতা বা কর্মচাঞ্চল্যের অভাব
* পরিবর্তিত মেজাজ (মুডি)
* বিষণ্নতা
* অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে সমস্যা
স্ট্রেসের কারণে
অনিয়ন্ত্রিত, অনভিপ্রেত ও একটানা স্ট্রেস আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। হতে পারে অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার, বিষণ্নতা, উচ্চরক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ইন্টেসটিনাল ডিজিজেস। অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার ও দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া। স্ট্রেস মাইগ্রেন ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায়। স্ট্রেসের কারণে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণও ওঠানামা করে।
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস মাদক বা নিকোটিনে আসক্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।
কিভাবে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
প্রথমে জানতে হবে, আপনি কখন স্ট্রেসড। সে অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
* যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, যেমন- সময়, আবহাওয়া।
* ছোট ছোট সমস্যা সমাধান করুন আগে, যা আপনাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আনতে সহায়তা করবে।
* একসঙ্গে অনেক সমস্যা সমাধান করতে না গিয়ে এক এক করে সমাধান করুন।
* দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান, নতুন কিছু গ্রহণ করতে শিখু...। পরিবর্তনকে ভীতিকর না দেখে ইতিবাচক হিসেবে নিন।
* আপনার সমস্যার ব্যাপারে বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন।
* বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করুন, বাড়াবাড়ি রকমের ব্যস্ততা বাড়াবেন না।
* সময়মতো এবং সুষম খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ধ্যান (মেডিটেশন) করুন।
* এমন কিছু করুন, যা আপনার কাছে স্ট্রেসফুল মনে হবে না, যেমন- খেলাধুলা সামাজিক অনুষ্ঠান অথবা শখের কিছু করা।
* তারপরও স্ট্রেস থেকে বের হতে না পারলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে যান।
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ
মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)
প্রচন্ড স্ট্রেসে করনীয়
ব্লগটি লিখেছেন: shopnokotha
| ১৫ মার্চ ২০১৪
স্ট্রেস এক ধরনের মানসিক ও শারীরিক চাপ যা বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি আপনার চারপাশের এক ধরনের চাপ, যা আপনাকে প্রভাবিত করে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নানা রকম চাপের সম্মুখিন হই। কারো ক্ষেত্রে এর সহনশীলতা কম আবার কারো বেশি। স্ট্রেস দেহের বাইরের ও ভেতরের উভয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে জীবন দূর্বিষহ হয়ে যেতে পারে।
স্ট্রেসের লক্ষণগুলো ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে, প্রকাশও পায় বিভিন্নভাবে।
শারীরিক লক্ষণ
* ব্যাক পেইন
* শ্বাসকষ্ট
* ঘাড় বা চোয়াল শক্ত বোধ করা
* দেহের ওজন বাড়া বা কমা
* ঘুমের ব্যাঘাত
* মাংসপেশিতে টান (টেনশন)
* মাথাব্যথা
* পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা (কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া বা বদহজম)
* ক্লান্তি মানসিক লক্ষণ
* স্নায়ুবিক দুর্বলতা
* দুশ্চিন্তা
* খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অতিরিক্ত খাওয়া
* কাজে অনাগ্রহ
* উদ্যমহীনতা বা কর্মচাঞ্চল্যের অভাব
* পরিবর্তিত মেজাজ (মুডি)
* বিষণ্নতা
* অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে সমস্যা
স্ট্রেসের কারণে
অনিয়ন্ত্রিত, অনভিপ্রেত ও একটানা স্ট্রেস আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। হতে পারে অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার, বিষণ্নতা, উচ্চরক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ, ইন্টেসটিনাল ডিজিজেস। অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার ও দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া। স্ট্রেস মাইগ্রেন ও অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায়। স্ট্রেসের কারণে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণও ওঠানামা করে।
দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেস মাদক বা নিকোটিনে আসক্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।
কিভাবে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
প্রথমে জানতে হবে, আপনি কখন স্ট্রেসড। সে অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
* যা আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না, যেমন- সময়, আবহাওয়া।
* ছোট ছোট সমস্যা সমাধান করুন আগে, যা আপনাকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আনতে সহায়তা করবে।
* একসঙ্গে অনেক সমস্যা সমাধান করতে না গিয়ে এক এক করে সমাধান করুন।
* দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান, নতুন কিছু গ্রহণ করতে শিখু...। পরিবর্তনকে ভীতিকর না দেখে ইতিবাচক হিসেবে নিন।
* আপনার সমস্যার ব্যাপারে বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলুন।
* বাস্তবসম্মত লক্ষ্য ঠিক করুন, বাড়াবাড়ি রকমের ব্যস্ততা বাড়াবেন না।
* সময়মতো এবং সুষম খাবার খান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ধ্যান (মেডিটেশন) করুন।
* এমন কিছু করুন, যা আপনার কাছে স্ট্রেসফুল মনে হবে না, যেমন- খেলাধুলা সামাজিক অনুষ্ঠান অথবা শখের কিছু করা।
* তারপরও স্ট্রেস থেকে বের হতে না পারলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞর কাছে যান।
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1818 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1714 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1558 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1552 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1504
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
কোথায় পাবো তাহারে?
ছয় এবং ছয়
১৪ সেপ্টেম্বার ২০১৯
সময় ব্যবস্থাপনার আদ্যোপান্ত
জোবায়দা হোসেন
২৭ ডিসেম্বার ২০১৮
আত্মহ... কী, কেন এবং কখন করে?
নুসরাত জাহান
১ ডিসেম্বার ২০১৮
#মন_মনন ১ঃ বিষন্নতা একটি বিষের নাম
অর্ফিয়ুস
১ ডিসেম্বার ২০১৮
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
মুসলিম নারীদের উত্তম রমাদান নির্দেশিকা
স্বপ্ন কথা
১৩ মে ২০১৮
মাত্র ১০টি অভ্যাস,দক্ষ মা হতে এগিয়ে যান আরেক ধাপ।
স্বপ্ন কথা
২ জানুয়ারী ২০১৭
ঝটপট নাশতা- ডিমের স্যান্ডউইচ
স্বপ্ন কথা
৮ আগষ্ট ২০১৬
মজাদার চিজি পাস্তা
স্বপ্ন কথা
২০ জুন ২০১৬
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)