মাত্র তিন বছরের শিশু রাহাত।বাবার সাথে তার সম্পর্ক একদম বন্ধুসুলভ।
কেউ যদি তাকে জিজ্ঞেস করে -'তুমি কাকে বেশি ভালোবাসো?
একবাক্যে সে বলে দেয় -'পাপা কে'
বাবা-মায়ের সাথে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছে রাহাত।আজ তার জন্মদিন।পাপাকে প্রমিস করিয়েছে আজ সে যা চাইবে দিতে হবে।রেস্টুরেন্টে ঢুকেই সে ঘোষনা দিলো সে তার পাপার হাতেই খাবে।
অর্ডার দেয়া হলো, , ,এখন অপেক্ষার পালা কখন খাবার আসে।খাবার আসতে দেরী হউয়ায় রাহাতের বাবা কিছুক্ষনের জন্য বাইরে গেল।
এর মধ্যেই খাবার চলে এলো।
মা তাকে বলছে--'পাপা চলে আসবে,এখন আমার হাতে খেয়ে নাও'
কিন্তু রাহাত নাছর বান্দা।সে কিছুতেই তার বাবা কে ছাড়া খাবে না।হটাত বাইরে তাকিয়ে সে দেখলো তার বাবা কাচেঁর দরজার ওপাশে সিগারেট টানছে।
একটু পরেই রাহাতের বাবা ফিরে এলো।আসতেই রাহাতের প্রথম প্রশ্ন -'পাপা তোমার হাতে ঐটা কি ছিল?'
-'কিছু না।বড়দের খাবার'
-'আমিও খাবো। আমাকেও দাও'
-'না বাবা এটা ছোটরা খেতে পারে না'
রাহাত এতো কিছু বুঝতে চাইলো না।সে চিৎকার করে কাদঁতে শুরু করে দেয়।অগ্যাত রেস্টুরেন্টের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য তার বাবা পকেট থেকে একটা visiting card বের করে সিগারেটের মত গোল করে তার মুখে ঢুকিয়ে দেয়।
রাহাত খুব খুশি, তার খুশি দেখে তার বাবা-মা ও খুশি।
{এভাবে হয়ত সব বাচ্চারা সিগারেট খাওয়া শিখে না তবে একটা শিশুর সবচেয়ে বড় শিক্ষকই তার বাবা মা।যে বাবা নিজে সিগারেট খায় সে বাবা নিজেও কখনো আশা করবে না তার সন্তান তা অভ্যাস করুক।ছেলের হাতে সিগারেট দেখে হয়ত আফসোস করবে-' কিভাবে ছেলেটা নস্ট হয়ে গেল'
জানা কথা,কিন্তু মানতেই কস্ট। শিশু মায়ের পেট থেকে কিছু শিখে আসে না।শিশু যা শিখে সবই পরিবেশ তাকে শিখায়।
সিগারেট এমন এক বিষ যা একটা মানুষকে নয়, গোটা সমাজকে গ্রাস করে ফেলতে পারে।}
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)