একজন ব্যক্তি ভালো শ্রোতা নাকি খারাপ শ্রোতা তা নির্ভর করে সে কোন পরিবেশ থেকে এসেছে তার উপর। এছাড়াও মনস্তাত্ত্বিক কারন,ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, মনোভাবও বিশেষ প্রভাব ফেলে।মানুষ বেখেয়ালে অন্যের কথায় মনোযোগ দিতে পারে না,শৈশবে তার কথার মূল্যায়ন দেয়া না হলে বড় হলে তার নিজের ব্যক্তিত্বও এরকম হয়ে যায় যে সে কেবল যার কথা শুনতে আগ্রহী তার কথাই শুনে অন্যের কথায় মূল্য দেয় না।
যারা bad listener তারা তাদের ব্যক্তিত্বের emotion ধরে রাখতে পারেনা তাই কোন কিছু শোনার ক্ষেত্রে বলা শেষ হওয়ার আগেই কিছু বলার জন্য উদ্যোগী থাকে।ফলে তারা ভালো শ্রোতা হতে পারে না।তারা শোনার পর অমনোযোগীতার ফলে ঐ ব্যপারগুলো গোছাতে থাকে ফলে পরে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলতে পারে না।কথার মধ্যে তোতলামি চলে আসে এবং তারা nervous হয়ে যায়।আর তখনই তারা খারাপ শ্রোতা হিসেবে পরিচিত হয়।
good listenerরা আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।বক্তার কথা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে শুনে,ধৈর্য সহকারে বুঝতে চায় ফলে তারা ভালো শ্রোতা হয়।
একজন ভালো শ্রোতা কখনো বক্তার পোশাক,তার ভাষা,সোস্যাল স্ট্যাটাস, বাচনভঙ্গি, কথা বলার বিষয় ইত্যাদির দিকে মনোযোগ দেয় না।হয়ত এমন কোন বিষয়ে বক্তা কথা বলছে যা সে খুব ভালো করে জানে,শুনতে আগ্রহ নেই বা সে বিষয়টিকে সমর্থন করে না ইত্যাদি তার যেই রকম অনুভূতিই হোক না কেন ভালো শ্রোতা কখনোই বক্তার কথার মাঝখানে তাকে বাধাঁ দেয়না।আর শ্রোতা কেবল জানার জন্য শুনবে না বরং অন্যের ধ্যানধারণা বুঝার জন্যও তাকে শুনতে হবে।
একজন ভালো শ্রোতাই একজন ভালো বক্তা হতে পারে।কারন শোনার মাধ্যমেই মানুষের মেধার বিকাশ হয়।বিজ্ঞানীরাও বলেছেন,'মানুষ শুনে যত দ্রুত শিখে তা পড়ে শিখতে পারেনা।'
ব্যক্তিকে প্রথমে ভালো শ্রোতা হতে হবে,তারপর ভাবুক এবং এরপর সে হবে বিচক্ষণ বক্তা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)