মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

যেসব কারণে আপনি মুটিয়ে যাচ্ছেন

যেসব কারণে আপনি মুটিয়ে যাচ্ছেন

যদি দেহ মধ্যস্থ ফ্যাটের পরিমাণ আদর্শ ওজনের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৫% ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ১০% বেশি হয় তবে ওই অবস্থাকে বলা হয় স্থুলতা। আর অতিরিক্ত ওজন এমনই এক মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা যা জন্ম দিতে পারে বিভিন্ন জটিল রোগের। এই স্থুলতা বা মুটিয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে বহুবিধ কারণ।

প্রথমেই আসা যাক অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন প্রসঙ্গে। যেমন অধিক ভোজন, নিয়মিত উচ্চ ফ্যাট ও উচ্চ ক্যালোরি গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অনিদ্রা বা অতিনিদ্রা ইত্যাদি।

গবেষণায় দেখা গেছে ৭০ -৯০ ভাগ স্থুলতা হয়ে থাকে অতিরিক্ত ভোজনের কারণেই। আমরা যা খাবার খাই তা যদি তা যদি পরিশ্রমের মাধ্যমে খরচ না হয় তবে শরীরের চর্বি ব্যাঙ্কে জমা হতে থাকে। আর এভাবে চলতে থাকলে তা মুটিয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

 আমেরিকান কলেজ অব নিউট্রিশনের গবেষণায় দেখা দেহে জিঙ্কের ঘাটতি হলেও মোটা হয়ে যায়।

 এছাড়া বিভিন্ন রোগের কারণেও ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন, হাইপোথাইরোডিজম, হাইপোগনাডিজম, কুশিং সিন্ড্রোম, পলিসিস্টিক ওভারির সিন্ড্রোম। বার্থ কন্ট্রোল পিল, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধও স্থুলতার কারণ হতে পারে।

শুধু শারীরিক সমস্যাই নয় মানসিক চাপ, বিষন্নতা, হতাশার কারণেও ওজন বেড়ে যায়।

অনেকের ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। মা বাবা দুজনে ই যদি স্থুলকায় হয়ে থাকেন তবে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে সন্তান মোটা হয়।

 

তাই রোগমুক্ত জীবন যাপন করতে চাইলে পরিমিত আহার, উচ্চ ফ্যাট ক্যালোরি যুক্ত খাবার কমিয়ে নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলুন। কিন্তু ডায়েট কন্ট্রোল, পর্যাপ্ত পরিশ্রম করার পরও যদি না কমে এবং পাশাপাশি যদি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা অনুভব করেন তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হোন।


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)