মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

স্বাস্থ্য তথ্য (পর্ব: এক)

স্বাস্থ্য তথ্য (পর্ব: এক)

নিদ্রাহীনতার কুফল!

দীর্ঘদিনের অনিদ্রা থেকে হতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, মেটাবলিক সিন্ড্রম, সার্কোপেনিয়া (বয়সের সঙ্গে পেশীর কোষ ক্ষয় রোগ) সতর্ক থাকার ক্ষমতা কমে যাওয়া, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মানসিক সমস্যা, খিটখিটে মিজাজ, মনোমালিন্য, শরীর ব্যথা, চোখের সমস্যা, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যাওয়া, প্রদাহ, ভাইরাসজনিত রোগসহ বিভিন্ন সমস্যা। অতএব সুস্থ থাকতে চাইলে পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

 

যেসব কারণে ঝরে যাচ্ছে আপনার চুল

চুল হারানো বা চুল ঝরে যাওয়ার মূল কারণ গুলির মধ্যে আছেঃ বংশগত, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, ভিটামিন বি, সি, ই, আয়রন, জিঙ্ক ও প্রোটিনের অভাব। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের ফলেও চুল পড়ে। রক্তস্বল্পতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারানো এবং থাইরয়েডের অকার্যকারিতার মত রোগে আক্রান্ত, ক্যান্সার, মাথার ত্বকের সংক্রমণ, Psoriasis, Dermatitis এর মত চর্ম রোগ গর্ভাবস্থা, বিশেষ কোনও চুলের স্টাইল যাতে চুলে বেশ টান পরে, Hair-pulling disorder, রজোনিবৃত্তি. ঔষধের প্রভাব।

অতএব চুল পড়া রোধে কারণ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

 

দৈনিক কী পরিমাণ পানি পান করা উচিত?

মায়োক্লিনিকের গবেষকগণ বয়স ও ওজন অনুযায়ী দৈনিক কী পরিমাণ পানি পান প্রয়োজন তার একটি সূত্র নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সূত্রটি হলো, বয়সকে ওজন দিয়ে গুন করুন, তাকে ১০০০ দিয়ে ভাগ করুন। যত আসবে তত লিটার পানি কমপক্ষে আপনাকে পান করতে হবে চব্বিশ ঘন্টায়।

তবে ছয় মাসের কম বয়সের শিশুকে পানি পান করানোর প্রয়োজন নাই। আবার সূত্রটির ফলাফল যদি আধা লিটারের কম আসে, তবুও কমপক্ষে আধা লিটার পানি পান করে নিতে হবে।

 

মহিলাদের কামশীতলতার কারণ

মহিলাদের যৌন স্পৃহা বা সে...ুয়াল ইন্টারকোর্সে আগ্রহ কমে যাওয়া বা আগ্রহ না থাকার পেছনে মানসিক ও শারীরিক উভয় কারণই দায়ী।

মানসিক:

স্বামী স্ত্রীর মানসিক দূরত্ব, সংশয় সন্দেহ ঘৃণা, অবিশ্বাস, সঙ্গীর সে...ুয়াল আর্টের জ্ঞানের অভাবে, মানসিক নির্যাতন, সঙ্গীর বিকৃত যৌন আচার, যৌন নিপীড়নের স্মৃতি, মানসিক অবসাদ ইত্যাদি।

শারীরিক:

হরমোনের গোলযোগ, পুষ্টিহীনতা, মেনোপজ, বিভিন্ন মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যৌনাঙ্গে বিভিন্ন রোগ, ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, হাইপারটেনশন ইত্যাদি। উল্লেখ্য মেয়েদের (বা পুরুষদের ও) এই প্রব্লেম সাধারণত মানসিক কারণেই বেশি হয়ে থাকে। এই সমস্যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

সমস্যা যখন খাবারে অরুচি

খাবারে অরুচির সমস্যা হতে পারে বিভিন্ন কারণে। যেমন জ্বর, সংক্রমণ, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, খাদ্যাভাসে অনিয়ম, হজমের দুর্বলতা, মানসিক চাপে রুচি কমে যায়। আপাত এই ছোট সমস্যাটি কখনো হতে পারে বড় মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। কেবল অরুচিই হতে পারে বিভিন্ন ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ। খেয়াল রাখু... অরুচির সঙ্গে ওজন কমে যাচ্ছে কি না, রক্তশূন্যতা আছে কিনা, দুর্বলতা, খাবার গিলতে সমস্যা, পেটের ব্যথা, দীর্ঘদিনের হজমে গোলমাল, পেটে বা শরীরের কোথাও চাকা ইত্যাদি রয়েছে কিনা। এসব লক্ষণ থাকলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

হিজড়া হওয়ার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে XX প্যাটার্ন ক্রোমোজমে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন ক্রোমোজমে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। অর্থাৎ, X এর সঙ্গে X এর মিলনে মেয়ে এবং X এর সঙ্গে Y এর মিলনে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। নারীরা XX ও ছেলেরা XY ক্রোমোজম ধারণ করে। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নি:সৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নি:সৃত হয় এস্ট্রোজেন। কিন্তু ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়। উল্লেখ্য, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথাযথ মেডিকেল চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তুু দুঃখজনক ব্যাপার হলো যখন এটা স্পষ্ট হয় যে সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে যায়।


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)